অবশেষে শেষ হলো বাংলাদেশ ও ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার বহুল আলোচিত সিরিজ। ওয়ানডে সিরিজ হারলেও টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ জয়ের সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরেছে লঙ্কানরা। আবার এ দুই দলের মধ্যকার লড়াই দেখা যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। যেখানে দুই দলের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচেও কী দেখা যাবে দুই দলের দ্বৈরথ? কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো দ্বৈরথই দেখছেন না শ্রীলঙ্কার টেস্ট সংস্করণের অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।তবে সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণেই দুই দলের মধ্যে অনেক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে মাঠে। ভারত বিশ্বকাপে তো সবকিছুকে ছাড়িয়ে যায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে আউট করাকে কেন্দ্র করে অনেক আলোচনা-সমালোচনাই হয়েছে। সামাজিকমাধ্যমে মেটে ওঠেন দুই দলের সমর্থকরা। সে ম্যাচে মাঠে ঢুকেও নির্ধারিত সময়ে ব্যাটিং করতে পারেননি ম্যাথিউস। তখন তাকে টাইমড আউটের আবেদন করেন সাকিব। সিদ্ধান্ত যায় বাংলাদেশের পক্ষেই। যা ভালোভাবে নিতে পারেননি লঙ্কানরা।চলতি সিরিজেও দেখা গিয়েছে এমন কিছু চিত্র। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আভিস্কা ফার্নান্ডোকে আউট করে শরিফুল ইসলামের উদযাপনটা হয় বিশেষ। বামহাত আড়াআড়ি রেখে ডানহাত দিয়ে ঈশারা করেন হাতঘড়ির। এরপর সেই জবাবটা সিরিজ জিতেই দেন শ্রীলঙ্কানরা। ট্রফি জয়ের উল্লাসে অনুকরণ করেন শরিফুলকে।বাংলাদেশও থেমে থাকেনি। ওয়ানডে সিরিজ জিতে আবার জবাব দেয় টাইগাররা। ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনের আগে বিশ্বকাপে ম্যাথিউসের সেই আউটের ঘটনা নাটক করে দেখান অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। অধিনায়ক শান্তর কাছে গিয়ে হেলমেটের স্ট্র্যাপ দেখান। সেই নাটকে যোগ দেন শান্তও। তার কিছুই করার নেই বলে জানানোর অভিনয় করেন। শেষে রাগে গজরাতে গজরাতে মাঠ ত্যাগ করার অভিনয় করেন মুশফিক।তবে এর শুরুটা হয় সেই ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফিতে। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে জয় তুলে ফাইনালের টিকিট কাটে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে চরম উত্তেজনা ছড়ায় দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে। এক পর্যায়ে রেগে খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঠ ছাড়তে চেয়েছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পানি নিয়ে মাঠে ঢুকে লঙ্কান ক্রিকেটারদের শাসাতে দেখা যায় একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হোসেন সোহানকেও।চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯২ রানে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন লঙ্কান অধিনায়ক। সেখানেই জানতে চাওয়া হয় দুই দলের দ্বৈরথ প্রসঙ্গে। ধনাঞ্জয়ার উত্তর, ‘এখানে কোনো দ্বৈরথ নেই। এটা কেবলই দুই দলের মধ্যকার একটি ম্যাচ। ম্যাচ অবশ্যই স্পিরিট অনুযায়ী হবে এবং অবশ্যই কঠিন লড়াই হবে। এটা সব দলের বিপক্ষেই হবে।’ এরপর তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে একই কথা বললেন শ্রীলঙ্কার মিডিয়া ম্যানেজার। এটা কেবল মিডিয়ার সৃষ্টি বলে দাবি করেন তিনি।