করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ। শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় নগরীর প্রেস ক্লাবের নিচে এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. হান্নান আহমেদ দুলালের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল (ভিপি বাদল) এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা।
সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহমুদা মালা, দপ্তর সম্পাদক এড. বিদ্যুত কুমার সাহা, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা, স্বাস্থ বিষয়ক সম্পাদক ডা. অধ্যাপক আতিকুজ্জামান সোহেল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল আলম চঞ্চল।
আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু, মহানগর তাতী লীগের সভাপতি এইচ এম ফারুক সাহেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি ২৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির, ২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হাসান জনি, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আজিম, ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সারোয়ার, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান খোকন, ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহমেদ হেনা ও জসিমউদ্দিন, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম খান, ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল হোসেন ও হারুন ইর রশিদ, ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন নয়ন, ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রবীন নেতা এস এম পারভেজ, ১৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুর রহিম, ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আনিস আহমেদ প্রমুখ।
সমাবেশে প্রধান বক্তা এ্যাড, খোকন সাহা বলেন, ‘বিএনপি’র বন্ধুরা পদযাত্রার নামে পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে রাস্তাঘাট বন্ধ করে রাখছে। ওরা আগুন সন্ত্রাসী, ওরা নির্বাচনে না এসে জামাত শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য মাঠে নেমেছে। আমরা ভুলি নাই জিয়াউর রহমান, জোট সরকারের আমলের দুঃসময়ের কথা। ওরা ওই সময় আমাদের হামলা মামলা দিয়ে, নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছে। ওদের আচরণ ছিল ৭১ এর পাক বাহিনী ও রাজাকারদের মত। তাদের সমীচিন জবাব দেয়ার জন্য আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত আছেন।
তিনি আরও বলেন ‘শামীম ওসমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে রাজনীতি করে। আপনাদের বর্তমান কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে, আপনাদের অতীতের কথা মনে করিয়ে দিবেন না। যদি স্মরণ করে দেন, তাহলে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তার দায় ভার আপনাদেরকেই বহন করতে হবে। ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচনে জয়লাভ করা। ক্ষমতায় যাওয়ার অন্য রাস্তার কথা চিন্তা করবেন না। আপনাদের অপকর্মের জবাব দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।
অ্যাড, খোকন সাহা আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমাদের দলের দু-চারজন লোক নিজের ইচ্ছেমতো দল পরিচালনা করতে চায়। দলের সিনিয়র নেতাদের প্রকাশ্যে তারা খুনি বানানোর চেষ্টা করেন। একই কাজ জামাত বিএনপিও করে। তাই আমি বলবো জামাত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করবেন না। দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। দলের কিছু কিছু নেতা দলকে ঐক্যবদ্ধ করার পরিবর্তে, দলকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমি মনে করি এমন কাজ দলকে ৮-১০টি গ্রুপে বিভক্ত করার শামিল।
আমি পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই দলের স্বার্থে নিজে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী না হয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখা উচিত। আমি মনে করি, সকল নেতাকর্মীদের একত্রে বলা উচিত, নেত্রী যাকে নমিনেশন দিবেন তিনি আমাদের প্রার্থী। শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে নেতা-কর্মীরা মেনে নিবেন।