দেশে অনির্বাচিত সরকার নিয়ে আসার পেছনে কলকাঠি নাড়েন- এমন ‘জ্ঞানীদের’ কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে খুব জ্ঞানী-বিজ্ঞানী আছেন। তাদের মুখে শুনলাম, দু-চার বছরের জন্য যদি অনির্বাচিত সরকার আসে, তাহলে তো মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না। কারা এগুলো বলেন, সেটা আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। অনির্বাচিত সরকার তো আপনারা দেখেছেন। এখানের ছাল ওখানে নিয়ে নানাভাবে দল করার চেষ্টা করেন, রাজনৈতিক নেতাদের খারাপভাবে উপস্থাপন করে অপকর্মের চেষ্টাও করেছেন।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহাভারত অশুদ্ধ হবে না, অশুদ্ধ হবে আমাদের সংবিধান। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা এবং তৎপরবর্তী বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সংবিধান, অনির্বাচিত সরকার এলে সেটি অশুদ্ধ হবে।’
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। এদিন বিকেল ৩টায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। তার সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠা কন্যা শেখ রেহানা। ভাষা-সাহিত্য চর্চাও ডিজিটাল করার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর আধুনিক প্রযুক্তির যুগেও বই উল্টে পড়ার মজাই আলাদা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ডিজিটাল যুগ। ভাষা-সাহিত্য চর্চাও আমরা ডিজিটালাইজড করতে পারি। বইগুলো ডিজিটাল ভার্সনে করতে হবে। অডিও ভার্সনও করা যেতে পারে। প্রত্যেকটা সাহিত্যকর্ম অডিও ভার্সন করতে পারলে চলতে-ফিরতেও শোনা যাবে, পড়া যাবে। সেভাবে আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের চলা উচিত। যদিও বই উল্টে পড়ার মজাই আলাদা। তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ সবচেয়ে বেশি ভোগ করেছি করোনা মহামারি মোকাবিলায়। সব বন্ধ থাকলেও ভিডিও কনফারেন্সে সারাদেশের সঙ্গে আমরা সংযুক্ত থাকতে পেরেছি। সব কিছু স্বাভাবিক রাখতে পেরেছি। বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর, পুস্তক প্রকাশক সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান ছোটন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বইপ্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রূপা চক্রবর্তী ও শাহাদাত হোসেন নিপু।