1. sajujournalist123@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
  2. admin@ganomaddhom.com : nvl5d :
  3. salemo1834949@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
বাপ-দাদার সম্মান রেখে এগিয়ে চলেছেন আশা - নারায়ণগঞ্জ আপডেট
বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
জেলা আদালতের এপিপি নিযুক্ত হওয়ায় অ্যাডভোকেট রাজীবকে শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা ‘নাঃগঞ্জ বার নির্বাচন’ রেজা-গালিব প্যানেলের মনোনয়ন সংগ্রহ নারায়ণগঞ্জ জেলা রোভার স্কাউট এর দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জে ট্রাক-সিএনজির সংঘর্ষ, নিহত ২ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আজ মালয়েশিয়া যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা হিন্দি-চীনী ভাই ভাই’পুরোনো স্লোগান ফিরছে কি ভারত ? নারায়ণগঞ্জে চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিষ্কার হলেন বিএনপি নেতা আসলাম ও তোফা বিদ্যালয় মাঠে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, স্কুল গেটের সামনে মানববন্ধন সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে বন্দর উপজেলা প্রেসক্লাবের মানববন্ধন মাদকের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান

বাপ-দাদার সম্মান রেখে এগিয়ে চলেছেন আশা

নারায়ণগঞ্জ আপডেট
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩
  • ২৮১ Time View

আবুল কাউসার আশা। যিনি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির এক ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। তার দাদা ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অন্যতম সেনাপতি, জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, নারায়ণগঞ্জ নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ছিলেন হাজী জালাল উদ্দিন আহমেদ (জালাল হাজী)। এছাড়াও জালাল হাজী দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ পৌরসভায় কমিশনার ও ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার উন্নয়নের কর্মকান্ডের তালিকায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ, গণবিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়, কদম রসুলস্থ হাজী সিরাজউদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় সহ একাধিক মাদরাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ জিয়া হল ও বর্তমান ৩শ শয্যা বিশিষ্ট (খানপুর) হাসপাতাল স্থাপনের একজন সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইতিহাস থেকে জানাযায়, জিয়াউর রহমান জালাল হাজীকে তার পরিবারের একজন সদস্য মনে করতেন। এবং সেই ভেবেই তার উপর পূর্ণ আস্থা রেখে তাকে একাধীক পদে অধিষ্ঠ করেছিলেন। তবে সেই আস্থার কখনো অমর্যাদা করেননি জালাল হাজী। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপি ও মানুষের সেবা করে জিয়াউর রহমানের সেই আস্থার সম্মান রেখে গেছেন তিনি।
এবার আসা যাক্ আশার পিতার প্রসঙ্গে। আশার পিতা অ্যাডভোকেট আবুল কালাম এমনই একজন মানুষ, যার শরীলে তেমন কোন কলঙ্কের ছাপ নেই। কট্টর সমালোচকদের কাছেও যিনি ছিলেন প্রিয় পাত্র। তবে যাদের কাছে তিনি প্রিয় পাত্র ছিলেন না, তাদের কাছেও এই মানুষটাকে নিয়ে সমালোচনা করার মত কোন পয়েন্ট ছিলো না। সুতরাং এই থেকেই বুঝাযায় যে, অ্যাডভোােকেট আবুল কালাম ছিলেন একজন ক্লিনম্যান অর্থাৎ ভালো মানুষ।
এই মানুষটি জীবনে অনেক স্ট্রাগল করে জীবনকে সফল ও স্বার্থক করে তোলেছেন। একজন সাবেক সাংসদপুত্র থাকা সত্বেও খুব কষ্ট করেই তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ। পিতার পরিচয়ে বা প্রভাব ঘাটিয়ে নয়, বরং নিজের মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে এলএলবি শেষ করেন তিনি। পিতা জালাল হাজীর যত সম্পত্তি ছিলো, ইচ্ছে করলে আবুল কালাম সারাজীবন রাজার মত জীবনযাপন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটা করেন নি। এলএলবি শেষ করেই তিনি সোজা কাজে নেমে পড়েন। আইনপেশায় নিয়োজিত থেকে তিনি কোর্ট-কাচারি দাপড়ে বেড়ান বহু বছর। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি পিতার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্যও কাজ করে চলেন। জিয়াউর রহমান ও পিতা জালাল উদ্দিনদের প্রতিষ্ঠা করা দল বিএনপির জন্য কাজ করে চলেন নিরলসভাবে। আর এজন্যই একটা সময় তার এ কর্ম দক্ষতা সাফল্যমন্ডিত হয়। বিএনপি থেকে তিন তিনবার মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন।
হ্যাঁ, সেই ঘরেরই সন্তান আবুল কাউসার আশা। আর সেই জন্যই হয়তো তিনি বাপ-দাদার পথে দাবিতো হয়েছেন। পরিবারের ঐতিহ্যকে হৃদয়ে ধারণ করে এবং বাপ-দাদার সম্মান চির অক্ষুন্ন রেখে এগিয়ে চলেছেন তিনি। বাপ-দাদার মত তিনিও নিজের কর্ম দক্ষতায় পরিচিত হয়েছেন। তাদের বংশের এমপি ও আইনজীবী পরিচয়ের সাথে কাউন্সিলর পরিচয়টা যুক্ত করে তিনি সফলতার প্রথম স্বাক্ষর রাখতে সক্ষমত হয়েছেন। প্রথম বলা হলো এই কারণে যে, তার এগিয়ে যাওয়ার পথ এখনো শেষ হয়নি। এমন আরও অনেক সফলতার স্বাক্ষর রাখার জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে প্রতিনিয়ত।
বাপ-দাদার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনিও বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের সাথে যুক্ত রয়েছেন। আবুল কাউসার আশা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করলেও তার টার্গেট আরও অনেক দূরে। সকল ষড়যন্ত্র ও বাধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছেন স্বপ্ন পূরনের দিকে।
এ বিষয়ে আবুল কাউসার আশা বলেন, আমার বাপ-দাদা তাদের নিজ নিজগুনে সফল হয়েছেন। নিজেদের কর্মদক্ষতা ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে সম্মানিত হয়েছেন এবং পরিবারকে সম্মানিত করেছেন। কিন্তু আমি বাপ-দাদার পরিচয় কিংবা বংশ মর্যাদার প্রভাব খাটিয়ে কিছু করতে চাই না, অতিতেও করেনি। আমিও তাদের মত নিজগুনে বড় হতে চাই। তবে তারা বহুকষ্টে যে সম্মান অর্জন করেছে, আমি সেই সম্মান ধরে রাখতে চাই। এখন পর্যন্ত সেই সম্মান ধরে রেখেই এগিয়ে চলেছি, তবে আমি আরও সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমি আমার পরিবারকে নিজ পরিচয়ে আরও কিছু দিতে চাই। সেই ক্ষেত্রে অনেক প্রতিকূলতা আসবে, জানি। তবে আমার বিশ্বাস, সব প্রতিকূলতা দূর করে আমি আমার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ্।

আরও সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (রাত ৩:০৯)
  • ১৪ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ২০শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি
  • ৩০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল)
©২০২৩ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত নারায়ণগঞ্জ আপডেট
Developed BY RIAZUL