জামায়াত-বিএনপি একটি উদ্দেশ্য নিয়ে কোটা আন্দোলন নিয়ে সহিংসতায় জড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বুধবার (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পরিবারের কাছে সহায়তার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন তিনি।
আপিল বিভাগের রায়ের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের যে কোটা, সেটাও কার্যকর হবে না। তার কারণ হলো আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্তানদের বয়স এরইমধ্যে ৩০ বছর পেরিয়ে গেছে। কাজেই মুক্তিযোদ্ধার কোটা এখন কার্যকর হবে না। তারপর কেন আন্দোলন? আন্দোলনের সব দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। জামায়াত-বিএনপি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
এরইমধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথার্থভাবেই বলেছেন যে বিচার বিভাগ স্বাধীন। ২০১৮ সালের আন্দোলনের সময় আমরা কোটা বিলুপ্ত করে দিয়েছিলাম। তারপরে সংক্ষুব্ধ হয়ে দুজন আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা আবার চালু করতে হাইকোর্ট একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন,’ বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কোটা আন্দোলনকে ভর করে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে সে চিত্র তুলে ধরে স্বরাট্রমন্ত্রী বলেন,
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন যে তোমরা ফিরে যাও, সবগুলোই আমরা আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করব। ছাত্ররা সেটা না মেনে আন্দোলনে নামেন। আমরা দেখলাম, আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। চরম ধৈর্যের সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা সেটা মোকাবিলা করেছে।
তিনি বলেন, স্বপ্নের মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসে আঘাত করা হয়েছে। একটার পর একটা থানায় তারা আঘাত করতে যাচ্ছিল, তখন আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি করেছে।
পেছন থেকে এই আন্দোলনে কারা মদত দিয়েছিলেন, তা আপনারা নিশ্চয়ই টের পেয়েছেন। সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর দেশে পরিণত করার জন্য পেছন থেকে যারা আন্দোলনে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়েছিল, ছাত্রদের বাদ দিয়ে তারা সামনে চলে এসেছে। এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য এখন সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।