বিদ্যুৎ যে বেশি ব্যবহার করবে, তাকে মূল্য বেশি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুতে অনেক উৎপাদন খরচ। আমরা কিন্তু ভর্তুকি দিচ্ছি। তবে এখন থেকে যে বেশি ব্যবহার করবে, তার মূল্য বেশি দিতে হবে। সেভাবেই করতে চাই।রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের পুনর্বাসন করে দিয়েছি। তাদের খোঁজখবর নিয়েন। তাতে আপনাদের লাভ আছে। তাদের আস্থা অর্জন করলে নির্বাচনে ভোটটা পাবেন। জনপ্রতিনিধিকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হয়। কমিউনিটি ক্লিনিকের দিকেও খেয়াল রাখবেন। কাজগুলো যাতে যথাযথভাবে হয়। ওষুধ যাতে যথাযথভাবে বণ্টন হয়। সেদিকে খেয়াল রাখলে মানুষ উপকৃত হবে।কোনো প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটা যথাযথ কাজে লাগবে কি না, দেখে দেবেন। প্রকল্প ব্যক্তির উপকার নয়, জনকল্যাণের দিকে চিন্তা করে নিতে হবে, বলেন তিনি।শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেলো। দাম বেড়ে গেলো। এজন্য তখন থেকে সবাইকে আহ্বান করেছিলাম, সবাইকে উৎপাদন করতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।
এ সময় সমবায়ের মধ্যদিয়ে সমন্বিত চাষের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাল-বিল নদী-নালাগুলোকে রক্ষা করতে হবে। একটা পুকুর দেখলেই সেখানে ভবন করতে হবে, এই চিন্তা বাদ দিতে হবে। জলাধার আমাদের দরকার। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে হবে।তিনি বলেন, পানির ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। সেখানে ফিল্টার দেওয়া হচ্ছে। এগুলো একবার করে দেওয়া হলে আজীবন চলবে না। এটার দিকে জনপ্রতিনিধিদের নজর রাখতে হবে। এটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে, সংস্কার ও সংরক্ষণ করতে হবে। এটা জনপ্রতিনিধিদের করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা তো নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চাকরি করে, এরপর শেষ। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের দায়বদ্ধতা আছে, তাদের দেখতে হবে। তবে, সরকারি কর্মকর্তারাও বিষয়টা দেখবেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এটার পরিষ্কার হচ্ছে কি না।অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, সচিবসহ বিভিন্ন জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বক্তব্য দেন।