বেনাপোল বন্দরে ছয় দিন আটকে থাকার পর ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজের খালাস প্রক্রিয়া সোমবার রাতে সম্পন্ন হয়েছে। তবে খালাস করা অধিকাংশ পেঁয়াজেই পচন ধরতে শুরু করেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ জানান, গত ৫ ডিসেম্বর সরকারি সংস্থা টিসিবি বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় তিনটি ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে। কিন্তু গত পাঁচ দিনেও খালাস না নেওয়ায় পেঁয়াজের চালানে পচন ধরতে শুরু করেছে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় আজ বিকেলে তারা প্রয়োজনীয় নথিপত্র কাস্টমস হাউসে সাবমিট করে। পেঁয়াজের রাজস্ব পরিশোধ করে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে বন্দর কর্তৃপক্ষ সোমবার রাতে পেঁয়াজের চালানটি খালাস করে।
বেনাপোলের কোয়ারেন্টিন উদ্ভিদ নিরীক্ষক কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে টিসিবির আমদানি করা ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ট্রাকগুলো বেনাপোল স্থলবন্দরে ছয় দিন আটকে থাকার পর সোমবার রাতে খালাস দেওয়া হয়।
পেঁয়াজ নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাকের চালক সন্তোস মন্ডল জানান, পেঁয়াজের ট্রাক নিয়ে গত পাঁচ দিন বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকার পর সোমবার রাতে ভারতীয় তিনটি ট্রাক থেকে পেঁয়াজগুলো আনলোড করা হয়।
বাংলাদেশি ছয়টি ট্রাক পেঁয়াজগুলো নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে জানান পেঁয়াজ খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কনফিডেন্স এন্টারপ্রাইজের মালিক হাবিবর রহমান হাবু।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান ‘গত ছয় দিন ধরে বন্দরে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ আটকে থাকার পর সোমবার রাতে পেঁয়াজের চালানটি খালাস দেওয়া হয়েছে। যথাসময়ে চালান খালাস না নেওয়ায় পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে।’