বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নানা কারণে মতপার্থক্য তৈরি হতে পারে, তবে সেটা যেন কোনোভাবেই দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আজ সোমবার নীলফামারীর দুবাছুরি দ্বিমুখি দাখিল মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। কিন্তু তাদের প্রেতাত্মারা, তাদের সহযোগিরা এ দেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে। তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের মাঝে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, এই মতপার্থক্য যেন এমন পর্যায়ে না পৌঁছায়, যাতে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হোক, পৌরসভার নির্বাচন হোক, উপজেলা নির্বাচন হোক, সংসদ নির্বাচন হোক, মসজিদ কমিটির নির্বাচন—বাংলাদেশকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলেই আগামীর যোগ্য নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে।’
দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘সামনে বহু কাজ বাকি।’
২০১৪ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হন গোলাম রব্বানী। তার পরিবারের কাছে একটি নতুন বাড়ি হস্তান্তর করা হয় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র পক্ষ থেকে।
জনসভায় পিতার হত্যার বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখেন নিহত গোলাম রব্বানীর বড় মেয়ে রওনক জাহান রিক্তা। তারেক রহমানের পক্ষে নতুন ঘরের চাবি নিহত গোলাম রব্বানীর বিধবা স্ত্রীর হাতে তুলে দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তারেক রহমান বলেন, আমরা চাই না দেশের আর কোনো মানুষকে গোলাম রব্বানীর ভাগ্যবরণ করতে হোক।
জনসাধারণের কাছে দোয়া প্রার্থনা করে তারেক রহমান বলেন, ‘দোয়া করবেন, আমি যেন দ্রুত দেশে ফিরে আসতে পারি। আবার যেন দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।’