জামালপুরের ইসলামপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে মারামারি হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যস্থতায় বড় ধরনের সংঘাত ঘটেনি। এতে দিনভর থমথমে অবস্থা বিরাজ করে ওই এলাকায়।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে সকালে উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের আগ্রাখালী ও আকন্দ গ্রামের লোকজন সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে স্থানীয়রা জানান, নির্বাচনী প্রতিহিংসায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন আগ্রাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নৌকা ও কাঁচি প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল জয়লাভ করেন। নির্বাচন শেষ হওয়ার পরও এই দ্বন্দ্ব অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলেও আকন্দপাড়া এলাকায় কাঁচি প্রতীকের সমর্থক লুৎফর কাজী ও তার লোকজনের সঙ্গে নৌকা প্রতীকের সমর্থক আসাদুল হক আশা মেম্বারের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে কাঁচি প্রতীকের সমর্থক লুৎফর কাজী ও তার লোকজন সন্ধ্যার দিকে মাইকিং করে দুই এলাকার মধ্যে সংঘর্ষের ঘোষণা দেন। সকালে দুই এলাকার হাজারও মানুষ লাঠি-সোটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেন।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বলেন, এই ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। উভয় এলাকায় এখন শান্তি বিরাজ করছে