সংগ্রহীত ছবি
ভারতীয় সেনাসদস্যদের মালদ্বীপের ‘জমি’ ছাড়তে বলেছে ওই দেশের সরকার। এমনকি, তার জন্য সময়ও বেঁধে দেয়া হয়েছে। ভারত সরকারও মালদ্বীপ থেকে সেনাসদস্যদের সরাতে শুরু করেছে। কিন্তু সেনাসদস্যদের সরালেও সেখানে ‘যোগ্য ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ’ মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই মতো ভারত থেকে মালদ্বীপে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রযুক্তিবিদদের প্রথম দলকে। ধাপে ধাপে আরো কয়েক প্রযুক্তিবিদকে মালদ্বীপে পাঠানো হবে।ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের দল আসার কথা নিশ্চিত করেছে মালদ্বীপ সরকার। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মালদ্বীপে থাকা দু’টি ভারতীয় হেলিকপ্টার এবং একটি বিমান দেখাশোনার দায়িত্বে থাকবেন প্রযুক্তিবিদেরা। তাদের প্রথম দল মালদ্বীপে যাওয়ার পরেই সেনাসদস্যরা ‘ভারতীয় সম্পত্তি’র দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার কাজ শুরু করেছেন। মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়ছে, ‘একটি ভারতীয় হেলিকপ্টার ফিরিয়ে দেয়া হবে মেরামতের জন্য।’ক্ষমতায় আসার পরেই মালদ্বীপ থেকে সেনাসদস্যদের সরানোর জন্য সরকারিভাবে আর্জি জানিয়েছিল মুইজ্জু সরকার। দিন কয়েক আগে বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছিল, তাদের নির্ধারিত দিনের মধ্যেই ভারত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে মালদ্বীপ প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সাথে একটি বৈঠক হয়েছে ভারত সরকারের। দুই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় শীর্ষ স্তরের বৈঠক ছিল সেটি।
দ্বিতীয় বৈঠকের পর মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, ১০ মার্চের মধ্যে মালদ্বীপে তিনটি বিমানক্ষেত্রের মধ্যে একটি থেকে সেনাসদস্যদের সরাবে ভারত। বাকি দু’টি জায়গা থেকে ১০ মের মধ্যে ভারত সেনাসদস্যদের সরিয়ে নেবে। বিবৃতিতে মুইজ্জু সরকার এ-ও দাবি করেছিল, এই বিষয়ে তাদের সাথে সহমত হয়েছে ভারত। যদিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মালদ্বীপে বিমান চলাচল করতে পারে এমন পরিস্থিতি বজায় রাখতে পারস্পরিক সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে ভারত। যাতে মালদ্বীপের মানুষকে মানবিক সাহায্য এবং ওষুধপত্র সরবরাহ করতে পারে নয়াদিল্লি।ওই বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জায়সওয়াল বলেছিলেন, ‘এখন যারা রয়েছেন মালদ্বীপে, তাদের জায়গায় ‘যোগ্য’ ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের পাঠানো হবে।
সেই মতোই কাজ শুরু হয়ে গেল।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা