নারায়ণগঞ্জ আপডেট: পাশ করলেই গাজী গ্রুপে অফিসার পদে চাকরী নয়তো উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ গমনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন গাজী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। এটি কোন গল্প নয় বরং মেধাবী শিক্ষার্থী নিতুর বড় স্বপ্নের রাস্তা বাস্তবে রূপ নেওয়ার ঘটনা।
নারায়ণগঞ্জ মর্গ্যান গার্লস স্কুলে ২০২৩ সালে এস এস সি পরীক্ষার্থী নিতু দাসকে বিশেষ ক্লাসের ৬ হাজার টাকা বেতন দিতে না পারায় টেস্ট পরীক্ষা (ভূগোল) চলাকালীন হল থেকে বের করে ৪০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন স্কুলের সহকারি শিক্ষিকা লায়লা।
নিতু রোলং নং ছিল-৩। বিশেষ ক্লাসের বেতন দিতে না পারায় নিতুকে তিন ভূগোলসহ তিন বিষয়ে ফেল করিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে নিতু প্রতিবাদ জানিয়ে স্কুলে গিয়ে পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জ করে। কিন্তু স্কুলের শিক্ষিকা লায়লা সেই খাতা দেখাতে বাধ্য না এবং নিতুকে এস এস সি পরীক্ষা দিতে দেবে না বলে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে নিতু কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ফেসবুকে নিজের শিক্ষা জীবন ফিরিয়ে দিতে আকুতি জানায়। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ এ বিষয়ে তদন্ত কমটি গঠন করে নিতুকে পরীক্ষা দেয়া ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। একই সাথে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, নারায়ণগঞ্জ শিক্ষা অফিস থেকে আলাদা কমিটি গঠিত হয়। সেই থেকে কপাল খুলে যায় নিতুর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন নিতুর হাতে। নারায়ণগঞ্জ মর্গ্যান গার্লস স্কুল শিক্ষার্থী নিতু দাসের শিক্ষা জীবনের দায়িত্ব নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ নগদ ৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন তিনি।