বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের মানুষের সেচ ও খাওয়ার জন্য পানির প্রয়োজন হয়।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তার রাজ্যের অংশগ্রহণ ছাড়া তিস্তা ও গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কোনো আলোচনা করা উচিত হবে না।
চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের মানুষের সেচ ও খাওয়ার জন্য পানির প্রয়োজন হয়।’
তিনি বলেন,`তিস্তায় পানির প্রবাহ বছরের পর বছর ধরে কমে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে পানি ভাগাভাগি করা হলে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ সেচের পানির অপর্যাপ্ততার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
‘এ ছাড়া, উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের খাবার পানির প্রয়োজনীয়তা মেটাতেও তিস্তার পানি প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়’, চিঠিতে উল্লেখ করেন মমতা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির নয়াদিল্লিতে আলোচনার কয়েকদিন পর মমতা এই চিঠি দেন।
আলোচনার পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন, বাংলাদেশে তিস্তার পানি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য শিগগির একটি কারিগরি দল বাংলাদেশে পাঠানো হবে এবং ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া ১৯৯৬ সালের গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির নবায়নের বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে।