নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, এখন আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেটা গঠন হয়েছে, ষড়যন্ত্রকারীর প্রতীক স্বৈরাচার ফেসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার সরকার যাতে করে এদেশের অগনিত মানুষের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল ষড়যন্ত্র করে ধ্বংস করতে না পারে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন,গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা খুব দ্রুত প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য আমাদের দলের ঐক্য তৈরি করে জনগণের পাশে গিয়ে সব বক্তব্য তুলে ধরে প্রস্তুত থাকা।
যেকোন সময় যদি আন্দোলনের ডাক আসে, আবার যেন আমরা রাজপথে নেমে আন্দোলন করতে পারি। আমরা আন্দোলন করেছি মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
প্রতিটি ভোটার যেন ভোট প্রয়োগ করে তার নেতা নির্বাচন করে দেশ শাসন করার সুযোগ করতে পারে। আমরা আংশিক বিজয় লাভ করেছি স্বৈরাচারী ফেসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে। কিন্তু এখনও অভিষ্ট লক্ষে পৌছাতে পারি নাই, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় এখনও প্রতিষ্ঠা হয় নাই।
সেই কারণে মনে রাখতে হবে সবচাইতে বড় প্রয়োজন হলো জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা আর দেশের সর্ব বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য আপনাদেরকে আমাদের প্রয়োজন। আমাদের দলের শৃঙ্খলা এবং ঐক্য সুদ্ধ করা এবং সুসংহত করা।
আমি অনুরোধ জানাবো বিএনপির সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দশটি ওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারীর দায়িত্ব হলো সকল সদস্যদেরকে যথাযথ মর্যাদা মূল্যায়ন করে তাদেরকে নিয়ে কাজ করা। শুধুমাত্র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কিংবা সাংগঠনিক সম্পাদক এই দলের মালিক না। এই সংগঠনের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করার জন্যই একাত্তর সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।
এই একাত্তর সদস্যকে যথাযথভাবে মূল্যায়ণ করতে হবে। নিয়মিত সভা করতে হবে এবং আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ঐক্যমতের ভিত্তিতে না হলে সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে হবে। ব্যক্তিগত ইচ্ছামত কাজ করা যাবে না।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহÑসভাপতি রওশন আলী, ডি,এইচ,বাবুল, এস,এম,আসলাম, এ,কে,এম সামছুল হক, মাসুদুজ্জামান মন্টু, যুগ্মÑসম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, শ্রমÑবিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সদস্য ইফসুফ মিয়া, ৪নং ওর্য়াড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী মুন্সি, ২নং ওর্য়াড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ৫নং ওর্য়াড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ৭নং ওর্য়াড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামান মির্জা, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, প্রমূখ।
আরো বক্তব্য রাখেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আকবর হোসেন, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কামরুল হাসান শরীফ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্মÑআহ্বায়ক সাড়র প্রধান, সাবেক সহÑসাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ডাঃ মুসা, মাহবুব হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষকদলের আহ্বায়ক তৈয়ম হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এ,কে হিরা ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন রনি।
সভায় ক্ষোভের সাথে বক্তরা বলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি,নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অর্ন্তভূক্ত অথচ অঙ্গসংগঠনগুলি নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাথে থাকায় আমরা কোন মূল্যায়ন পাইনা। মহানগর অঙ্গসংগঠন কমিটি কেন্দ্র থেকে গঠন করে দেওয়ার পর তারা আর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কোন অঙ্গসংগঠন করে না। নেতার শুধু তাদের নিজেদের নিয়ে ব্যাস্ত থাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা নেতাকর্মীদের কোন মূল্যায়ন করেন না।
মূলদল এ দিকে জেলার সাথে অন্য দিকে অঙ্গসংগঠন মহানগওে থাকায় সাংগঠনিক কাজ করতে অনেক সমস্যা হয়। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ ৪-আসন নির্বচনী এলাকা ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা নিয়ে গঠিত তাই নির্বাচনের কাজকর্মেও সমস্যা হয়।
তাই সকল অঙ্গসংগঠনকে নারায়ণগঞ্জ জেলার অধীনে এনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাথে সাংগঠনিক কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদিনের কাছে আহ্বান জানান।