সৌদি আরব সফরে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তিনি মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে পৌঁছান এবং পরে সেখানে তিনি সৌদি যুবরাজ এবং প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বন্ধ এবং যুদ্ধবন্দিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তারা আলোচনা করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধ এবং রাশিয়া থেকে যুদ্ধবন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য চাপ দেওয়ার প্রয়াসে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সাথে সৌদি আরবে আলোচনা করেছেন।
জেলেনস্কির ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় নেতা চলমান সংঘর্ষের অবসানের জন্য একটি ইউক্রেনীয় পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতায় ভূমিকার জন্য এমবিএসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপ্রধান (জেলেনস্কি) বিশেষ করে ইউক্রেনে ন্যায্য পন্থায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে সৌদি আরবের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেছেন। সৌদি আরবের নেতৃত্ব একটি ন্যায্য সমাধান খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।’
অন্যদিকে রাষ্ট্রচালিত সৌদি প্রেস এজেন্সি বলেছে, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট সমাধানের লক্ষ্যে সমস্ত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার জন্য সৌদির আগ্রহ এবং সমর্থন নিশ্চিত করেছেন’ যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
এসপিএ জানিয়েছে, জেলেনস্কি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে দেখা করেছেন এবং তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিন সালমান সংকট সমাধান এবং মানবিক পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টার পক্ষে তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
জেলেনস্কি এই বিষয়ে সৌদি আরবের নিবেদিত প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বলেও সৌদির রাষ্ট্রীয় এই বার্তাসংস্থা জানিয়েছে।
পরে জানা যায় জেলেনস্কি সৌদি আরব ছেড়েছেন। এর আগে কিয়েভ এবং মস্কোর মধ্যে সৌদির মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার মধ্যে ২০২৩ সালের মে মাসে প্রথমবারের মতো সৌদি আরব সফর করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
আল জাজিরা বলছে, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে নিজেকে একজন সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসাবে অবস্থান দৃঢ় করার চেষ্টা করছেন মোহাম্মদ বিন সালমান।
যদিও ওপেক প্লাস দেশগুলোর মাধ্যমে জ্বালানি নীতিতে রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত রয়েছে সৌদি আরব।