রমজান আসার আগেই চিনির দাম আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে চিনি আমদানিতে শুল্কহার ৫ শতাংশ কমানো হলেও দাম গ্রাহকের নাগালের বাইরেই।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি চিনির দাম দেড় থেকে ২ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১০৮-১০৯ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। তবে চিনি উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য একেবারেই ভিন্ন। তাদের দাবি বাজারে বর্তমানে কোনো সরবরাহ ঘাটতি নেই। মিল থেকে প্রতিদিনই চাহিদা অনুযায়ী চিনি সরবরাহ করা হচ্ছে। তাদের দাবি পাইকারি বাজারে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে চিনির কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে এবং ভোক্তাদের কাছ থেকে বেশি মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া মিল থেকে চিনির দাম বাড়ানো হয়নি।
রমজানে যেন চিনির দাম না বাড়ে এবং ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সেজন্য সরকার আমদানি শুল্কের ওপর ৫ শতাংশ কর কমিয়েছে। এতে দাম কমার কথা থাকলে বাজারচিত্র একেবারেই ভিন্ন। পাইকারি বাজারেই কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে দেড় থেকে ২ টাকা। নারায়ণগঞ্জের পাইকারি বাজার নিতাইগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, চিনি বেচাকেনা হচ্ছে ১০৮-১০৯ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১০৬-১০৭ টাকা। পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে সেই চিনি বেচাকেনা হচ্ছে ১২০-১২২ টাকা কেজি।
ব্যবসায়ীরা বলেন, রোজাকে সামনে রেখে বাজারে চিনির চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু সে তুলনায় মিল থেকে চিনি সরবরাহ অনেক কম। ফলে দামও বাড়ছে। এছাড়া ডলার সংকটে বিদেশ থেকে চিনির কাঁচামাল আমদানিতেও বেশি খরচ হচ্ছে । সম্প্রতি চিনি নিয়ে আসা দুটি মাদার শিপ জটিলতার কারণে পণ্য খালাস না করেই ফিরে গেছে। এটিও প্রভাব বিস্তার করেছে বলে জানান তিনি।