ক্যারিয়ারের ১০০তম টেস্টে বোলিংয়ে ফিরবেন স্টোকস
আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজকোটের নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড।
এই ম্যাচের আগে টেস্ট ক্যারিয়ারের দারুণ এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। রাজকোটের এই ম্যাচটি হতে যাচ্ছে স্টোকসের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ১০০তম টেস্ট ম্যাচ।
নিজের শততম ট্স্টে ম্যাচের আগের বিস্ময়কর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্টোকস। জানিয়েছেন, এই ম্যাচে নিজের সেই রূপ অলরাউন্ডার হিসেবে খেলবেন তিনি। যদিও সিরিজ শুরুর আগে স্টোকস জানিয়েছেন , এই সিরিজে বল করবেন না তিনি। শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলবেন। তবে নিজের স্মরণীয় ম্যাচ বলেই হয়তো হঠাৎ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন তিনি।
গেল বছরের নভেম্বরে স্টোকসের হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তখন থেকেই বল করছেন না ইংলিশ অধিনায়ক। দলে খেলছেন শুধু ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ হিসেবে। আগামীকাল সেই ধারা ভাঙবেন তিনি।
রাজকোটের এই ম্যাচে হয়তো ব্যাট হাতে দারুণ কিছু দেখাতে পারেন স্টোকস। কারণ, ভারতের মাটিতে স্টোকস ১১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন ৩২.৪৭ গড়ে। এর মধ্যে কেবল একটি সেঞ্চুরি আছে এই বাঁহাতি ব্যাটারের। কাকতালীয়ভাবে সেই একমাত্র সেঞ্চুরিটি স্টোকস হাঁকিয়েছেন এই রাজকোটেই। ওই ম্যাচে ১২৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ইংলিশ ব্যাটার।
স্টোকসের অধীনেই টেস্টে ক্রিকেটের নতুন ধরন ‘বাজবল’ ধারণা আবিষ্কার করেছে ইংল্যান্ড। বাজবল মানে হলো- প্রথাগত টেস্ট ক্রিকেট না খেলে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলা।
এই ধরনের খেলায় দারুণ খেলেন স্টোকস। পাশাপাশি দলের বিপদের সময়ে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভাব হয় তার। খেলার মোমেন্টাম বদলে দলকে জয়ও এনে দিতে পারেন স্টোকস। যে কারণে স্টোকসের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তারই সতীর্থ অলি পোপ।
পোপ বলেন, ‘তিনি সম্ভবত অনেক ক্ষেত্রেই খেলাকে পরিবর্তন করেছেন। দলের প্রয়োজনে তিনি তার সেরাটা বের করার একটি উপায় পেয়েছেন। এমনকি লর্ডসে অ্যাশেজেও (দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৫) দারুণ খেলেছেন, যেটা আমার মনে আছে। ‘যখন সমস্ত চাপ তার উপর থাকে তখন তিনি কীভাবে এটিকে মুক্ত করে একটি নতুন স্তরে নিয়ে যান।
২০১৩ সালে টেস্ট দলে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত ৯৯ টি ম্যাচে স্টোকস রান করেছেন ৬ হাজার ২৫১। ব্যাটিং করেছেন ৩৬.৩৪ গড়ে। বল হাতে তার ঝুলিতে আছে ১৯৭ উইকেট।