নারায়ণগঞ্জ আপডেট: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন,প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সহ বিএনপির নেতাকর্মীদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থেকে গ্রেপতারের প্রতিবাদে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে এবং সেচ্ছাসেবক দলের নেতা মকবুল সহ ১১ জন নেতাকর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে ও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে হোসিয়ারী সমিতির সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এসময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড.আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, সরকার পুলিশ আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনি দিয়ে ঢাকার রাজপথের বিভিন্ন জায়গায় বাধা প্রদান করেও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গনসমাবেশ বন্ধ করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশে গনতন্ত্র নেই দিনের ভোট রাতে হয় এটাই তার নমুনা।
আজ কে সাড়াদেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা নিরাপদ নয় এ থেকে নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরাও নিস্তার পাচ্ছে না। তাই গনসমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবি দেয়া হয়েছে এ দাবী আদায়ে আমরা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাবো। কারন আজকে দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই। আমার রাজনৈতিক অভিবাবক তারেক জিয়ার দিকনির্দেশনা মেনে সকল প্রজায়ে এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে এড. শাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বর্তমানে দেশে চরম দুঃশাসন চলছে। নিত্যপন্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এই সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা বিদেশে টাকা পাচার করার কারনে এদেশে ডলারের সংকট দেখা দিযেছে। আজ জনগনের চোখ অন্য দিকে নেয়ার জন্য বিরোধী দলের উপর স্ট্রিম রোলার চালাচ্ছে। আমাদের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ বাঞ্চাল করার জন্য উঠে পরে লেগেছিলো।
তিনি আরও বলেন আমাদের দলের মহাসচিবসহ আমাদের নারায়ণগঞ্জের রনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এই সভা থেকে বিএনপির সকলের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। সরকারি দল সারা বাংলাদেশে অস্ত্র নিয়ে মহরা দিয়ে আমাদের সমাবেশ নষ্ট করতে চেয়েছিলো, তবে তার পরেও আমাদের সমাবেশে লাখ লাখ লোক সমাবেত হয়েছিলো।