নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশা বলেছেন, দীর্ঘ অনেক বছর মুছাপুর ইউনিয়নের প্রোগ্রাম দেয়া হয়েছে, আজকে নেতা-কর্মীদের জমাট দেখে আলহামদুল্লিল্লাহ। বিএনপি নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছে। তাই কোন ভাবে আওয়ামীলীগের দোসর ফ্যাসিস এই নতুন সদস্য ফরম নিতে না পারে। এখানে আসার আমার আবেগ চলে আসছে। আমার পিতা আবুল কালাম সৎভাবে জীবন যাপন করে যাচ্ছে। পির্তৃক জমি বিক্রি করে রাজনীতি করেছেন। এখন তিনি উত্তরাধিকার হিসেবে আপনাদের আমার পাশে রেখেছেন। যা পেয়েছি তার সম্পদের চেয়ে অনেক বেশি। অনেক মুরব্বী যদি এই শক্তি যদি আমার পাশে থাকে দৃস্কৃতিকারী দোসররা আমার কিছু করতে পারবে না। বিগত সময়ে মুছাপুর ইউনিয়নের বিএনপির অনেক ঐহিত্য ছিলো। বিগত ১৫ বছরে আস্তে আস্তে ফ্যাসিবাদের ধ্বংসের দাড় প্রান্তে দাড়িয়ে করেছিলো। কিন্তু এখন বিএনপি আবারো মাঠে চলে এসেছে।
শুক্রবার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে নারায়ণগঞ্জ মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে বিএনপি নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচী উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী মোঃ নূর হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ আওলাদ হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ ইয়ানবী মেম্বার, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন, মুছাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সাবেক সভাপতি নুরল আলীম মোল্লা, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সভাপতি মনির হোসেন প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, অনেকে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন নাই। দিনের ভোট দিনে হয়নি রাতে হয়েছে। রাত ভোটও পরে তাহাজ্জুদের সময়ে ভোট হয়ে যায়। এই ভোটগুলো করেছিলে এখানকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। হঠাৎ উপজেলা নির্বাচনে এমপি সাহেব তাকে রাজাকারের ছেলে বলায় এখন জামায়াতের মত আচরন শুরু করে দিয়েছে। মনে হচ্ছে তিনি জামায়াত হয়ে গেছে। ইলেকশন করার দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিয়েছে। আপনার ভুলে যাবেন না, যারা আপনাদের তিন তিন বার ভোটাধিকার প্রয়োগ বঞ্চিত করে পুরস্কৃত হয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। রাতারাতি কেউ যদি রাজাকারের ছেলে বলায় জামায়াত হয়ে যান নাই। তিনবার ভোট প্রয়োগে নষ্ট করায় আগে মানুষের কাছে মাফ চাইতে হবে। তাই বলি ধীরে ধীরে চলুন। ৫ আগষ্টের পর জেলা যেটা হয়নি এই মুছাপুরের ৩২টা বাড়িতে আগুন দিয়েছেন। এত সাহস কোথায় পেল। এগুলো তো বিএনপি কেউ করেনি, এমনকি বৈষম্যবিরোধী জামায়াতের কেউ এমন কাজ করেনি। এখন মুছাপুর স্বাধীন, জিম্মি করার দিন শেষ হয়ে গেছে। আজকের প্রোগ্রামে যেতে অনেকে না করেছে মোবাইলে। আমরা বিএনপি পুলিশী নির্যাতন হামলা মামলা শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত রাজপথে রয়েছি। ঐক্যবদ্ধ মুছাপুর আজক থেকে আবারো পুণরায় শুরু হয়ে গেছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আশা বলেন, এখন নির্বাচন নিয়ে কথা বললে, বলে ক্ষমতার পাগল হয়ে গেছে। ১/১১ সরকার পরে বিএনপি ক্ষমতায় আসতো, বেগম খালেদা জিয়া সেই ক্ষমতার লোভ করে নাই। তিনি দেশের বাহিরে যায়নি বরং আওয়ামীলীগের প্রতিহিংসা জেলে থাকতে হয়েছে মাসের পর মাস। আগামীতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে যাবেন। জনগনের রায় নিয়ে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক হবেন তারেক রহমান।
আওয়ামীলীগ নিয়ে আশা বলেন, মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অনেক কোমলমতি শিশুরা মৃত্যুবরণ করেছেন। এই সুযোগ নিয়ে আবার ফ্যাসিসরা মাঠে নেমেছে। এখন বলেন আপা আপা আসতাছে, আরে এই আপা দেশের ফিরে আসার জন্য যায়নি। পালানো দল আমরা করি না, আমাদের নেত্রী দেশ ছাড়েনি।
ঐক্যবদ্ধ রাজনীতিতে তিনি বলেন, বিএনপি এনসিপি সহ বিভিন্ন রাজনীতিগুলো এক কাতারে থাকা উচিত। একা হয়েছেন কিন্তু মরেছেন। বিএনপি সববৃহৎ রাজনীতি দল। পিআর পদ্ধতি নিয়ে অনেকে ক্ষমতা স্বপ্ন দেখছেন। দেশের জনগণ আর নাটকী ভোট দেখতে চায় না। নির্বাচনে আপনারা নেতা দেখে ভোট দিবেন, পিআর পদ্ধতি মাধ্যমে মানুষদের হয়রানি করবেন না। বিএনপি নেতা-কর্মী সজাগ থাকতে হবে, কোন বিষয় যেন ছেসরা বলতে না পারে। এই মুছাপুরে একটি ছেলে প্রায় ২০০টি ছিটা গুলি শরীরে নিয়ে চলতে হচ্ছে।