শ্রদ্ধাঞ্জলি, যজ্ঞ, ভক্তিগীতি আর আরতির মধ্য দিয়ে মাঘী শুক্ল পঞ্চমীর পূণ্য তিথিতে নারায়ণগঞ্জে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর কাছে প্রার্থনা জানান শিক্ষার্থী ও ভক্তরা। বিদ্যা ও জ্ঞান অর্জনের জন্য সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে, বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাংদেহী নমোহস্তুতে’ এ মন্ত্র উচ্চারণ করে সরস্বতী দেবীর পূজা অর্চনা করেন ভক্তবৃন্দরা।
এ উপলক্ষে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের চাষাড়া রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময়ে সাধু নাগ মহাশয় আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য্য বলেন, শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে এ দেবীর পুজার আয়োজন করা হয়।
শ্রী পঞ্চমীর দিন ভোর হতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের ঘরে ও সর্বজনীন পূজা মন্ডপে দেবীর পূজা অর্চনা করা হয়।
এ দিন হিন্দু পরিবারের শিশুদের হাতেখড়ি দেয়া হয়। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে শ্রী পঞ্চমীর দিন সকালেই সরস্বতী পূজা সম্পন্ন করা হয়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজার প্রচলন হয় বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে।
এ পূজায় আমের মুকুল, দোয়াত-কলম, যবের শিষ, বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুল সহ কয়েকটি বিশেষ সামগ্রীর প্রয়োজন হয়।
ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, ছাত্রছাত্রীরা পূজার আগে উপবাস করেন। পূজার দিন কিছু লেখাও নিষিদ্ধ আছে। পূজার পর লক্ষ্মী-নারায়ণ, লেখনী-মস্যাধার (দোয়াত-কলম), পুস্তক ও বাদ্যযন্ত্রেরও পূজা করা প্রচলিত আছে।পূজার সময় পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া অত্যন্ত জনপ্রিয়। পূজা শেষে উপস্থিত ভক্তবৃন্দদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একথানন্দজী মহারাজসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী ও ভক্তবৃন্দ।