রূপগঞ্জে সম্প্রতি অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়ছে প্রকাশ্যে মাদক কেনাবেচা। ঘটছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, হামলা, সংঘর্ষ, জবর দখল, ধর্ষণ ও খুনের মতো ঘটনা। জানা যায়, রূপগঞ্জের ভুলতা, গোলাকান্দাইল, কাঞ্চন, তারাব, মুড়াপাড়া, রূপগঞ্জ, কায়েতপাড়া, দাউদপুর ও ভোলাব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় রাতেই ঘটছে চুরি ও ডাকাতি। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্তরা এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলেও তা রুজু হয়না বলেও অভিযোগ ওঠেছে। গত কয়েকদিনে এক শিক্ষকের বাড়িসহ মুড়াপাড়া এলাকায় ৪ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হোড়গাঁও এলাকায় প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনার সাথে ওই এলাকার মৃত মোতালিবের ছেলে সিয়াম ও শাকিল বাহিনী জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাছাড়া ওই এলাকার কিশোরগ্যাং প্রধান হিসেবে সিয়াম পরিচিত। তার একটি কিশোরগ্যাং বাহিনী রয়েছে। এ বাহিনী সন্ধ্যার পর রাস্তায় লোকজনকে আটকে টাকা, মুঠোফোনসহ সর্বস্ব লুটে নেয়। এছাড়া শাকিল-সিয়াম বাহিনীর নেতৃত্বে প্রকাশ্যে হোড়গাঁও এলাকায় ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা কেনাবেচা হচ্ছে। বাধা দিলেই হামলার শিকার হতে হয়। তাই কেউ প্রতিবাদ করারও সাহস পায় না।
এদিকে ভুলতা, মুড়াপাড়া, কাঞ্চন, তারাব, দাউদপুর, কায়েতপাড়া, ভোলাব ও আশপাশের এলাকায় একাধিক কিশোরগ্যাং রয়েছে। ওই বাহিনীর কাছে রয়েছে শতাধিক নাম্বার প্লেটবিহীন মোটরসাইকেল। ওইসব মোটরবাইক ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয় বেশি। গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক ছিনতাই, শতাধিক চুরি ও ৫টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
সম্প্রতি গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হোড়গাঁও এলাকার মৃত মোতালিবের ছেলে শাকিলকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ র্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। ৬ মাস হাজতবাসের পর জামিনে এসে আবারো অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছালাহউদ্দিন ভুঁইয়া জানান, এলাকার চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক কেনাবেচা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মানুষকে সচেতন হতে হবে। যারা এসব অপরাধের সাথে জড়িত তাদের এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে পুলিশে সোর্পদ করা প্রয়োজন। অন্যথায় অপরাধ দমন করা যাবে না। রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, অপরাধ দমনে পুলিশ প্রশাসন সব সময় আন্তরিক। যারা অপরাধে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তাছাড়া অপরাধ দমনে এলাকার সচেতন নাগরিকদের সহায়তা প্রয়োজন।