রূপগঞ্জে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আবদুল্লা আল মামুন হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে শয়তানের নি:শ্বাস নামক মাদক ও জীবন নাশকারী পটাশিয়াম সায়ানায়েড পয়জন দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো চাঁদপুর জেলার দক্ষিণ মতলব থানার নারায়ণপুর গ্রামের শাহ আলম প্রধানের ছেলে শাকিল আহমেদ এবং বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার ইদিলিকাঠি গ্রামের নূর মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে রাকিব।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ওই শিক্ষক গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে শয়তানের নি:শ্বাস নামক মাদক ক্রয় করতেন। তবে ওই মাদকের কারণে শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
শাকিল আহম্মদকে চাঁদপুর সদর থানা এলাকা হতে এবং রাকিবকে ঢাকার টিকাটুলি এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে গ্রেফতারের সময়ে দশ গ্রাম স্কোপোলামিন, দুই লিটার পটাশিয়াম সায়ানাইড, আড়াই লিটার ক্লোরফর্ম, ছয়টি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ ও একটি খাতা উদ্ধার করা হয়।
এর মধ্যে স্কোপোলামিন শয়তানের নি:শ্বাস নামে পরিচিত। যা দিয়ে দ্রুত সময়ে মানুষকে অল্প সময়ের জন্য বশিভূত করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে ঢাকা থেকে রাসায়নিকদ্রব্য ক্রয় করে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে থাকে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আবদুল্লা আল মামুন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে নিখোঁজ হন।
নিখোঁজের একদিন পর ২৩ আগস্ট ভোরে রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল এলাকায় ২০ নম্বর সেক্টরের কালনি এলাকায় প্রধান সড়কের পাশে আব্দুল্লাহ আল মামুনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী।
পরে বিষয়টি জানতে পেরে স্বজনরা গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওই দিন রাতেই নিহত মামুনের বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।