নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতিয়েছেন শ্রোতাপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর-ডলি সায়ন্তনী। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন শিল্পী একই মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেন।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার বরপা এলাকায় হাজী নুর উদ্দিন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একঝাঁক কণ্ঠশিল্পী গান গেয়ে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখেন।
সন্ধ্যা থেকেই বেশ কয়েকজন শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন। তবে ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে আঁখি আলমগীরের পরিবেশনা। তিনি ‘চিরদিনই তুমি যে আমার যুগে যুগে আমি তোমারি’, ‘এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেও না’, ‘বন্ধু আমার রসিয়া খাটের উপর বসিয়া একখানা গান বানাইছে’, ‘তোমাকে চাই আমি আরও কাছে তোমাকে বলার আরো কথা আছে’সহ বেশ কিছু গান গেয়ে শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখেন।
রাত বাড়তেই গানের তালে সুরে-ছন্দে মঞ্চে আসেন ডলি সায়ন্তনী। তার ‘নিঃস্ব করেছ আমায় কি নিঠুর ছলনায়’, ‘কারো প্রেমে পড়লাম নারে মজা কি বুঝলাম না রে’, ‘বিষম পিরিতি কি পিরিতি সই’সহ আরও বেশ কিছু জনপ্রিয় গানে গানে গভীর রাত পর্যন্ত সুরের সাগারে ভাসেন দর্শক-শ্রোতারা। এ ছাড়াও শাহরিয়ার আরাফাত, মিলন, লেমিস, সানজিদা রিমি, ও বিউটি খানসহ বেশ কয়েকজন শিল্পী এ অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন।
হাজী নুর উদ্দিন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিকেলের পর থেকে দর্শকের ভিড় বাড়তে থাকে। দর্শক-শ্রোতাদের চাপে সন্ধ্যার মধ্য অনুষ্ঠানস্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। খোলা আকাশের নিচে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে স্কুল ভবনের সামনেই স্থাপন করা হয় মঞ্চ। বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় এ কনসার্ট বাড়তি মাত্রা যোগ করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনির। আফরিন জান্নাতের সঞ্চালনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক নাসির উদ্দিনের সভাপতিতে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ফাইয়াজের পিতা দীপন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের আনুগত্য, আস্থা-বিশ্বাস ও সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আজকের এই আয়োজন। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতেই একযোগে কাজ করে যাব। আজকে এই ক্ষণে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদেরকে, যাদের প্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে আমরা গণতন্ত্রকে পুনরায় ফিরে পেয়েছি। তাই আসুন আমরা ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রূপগঞ্জের ফারদিন ফাইয়াজসহ সব শহীদদের ভুলে না যাই। তাদের আত্মার শান্তির জন্য এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাব। যাতে মানুষ তাদের নিজের ভোট নিজে দিতে পারে এবং বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়। এ লক্ষ্য নিয়ে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।