লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় ৬০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) এ তথ্য জানিয়েছে। রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বেঁচে যাওয়া লোকজনের বরাত দিয়ে আইওএম জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় নৌকাটিতে প্রায় ৮৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিল। ওই নৌকাটি লিবিয়ার জুওয়ারা থেকে রওনা দিয়েছিল।
সাগরের উঁচু ঢেউয়ের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন শিশু ওই নৌকায় ছিল। নৌকা ডুবে যাওয়ায় তাদেরও মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের স্রোত বাড়ছে লিবিয়া উপকূলে। আইওএম ধারণা করছে যে, শুধু চলতি বছরই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করার সময় ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ ডুবে মারা গেছে।
ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন রুটগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে লিবিয়া উপকূল। আইএমও জানিয়েছে, নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের অধিকাংশই নাইজেরিয়া, গাম্বিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের বাসিন্দা।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আরও জানিয়েছে, জীবিত ২৫ জনকে লিবিয়ার একটি বন্দিশালায় পাঠানো হয়েছে এবং সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত জুনে দক্ষিণ গ্রিসের কাছে একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে গেলে কমপক্ষে ৭৮ জন মারা যায় এবং আরও ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার মতে, তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে চলতি বছর দেড় লাখের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালি পৌঁছেছে।