বন্দর প্রতিনিধিঃ সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মারা যাওয়া শহীদদের তালিকায় নাম উঠে আসে আল মামুন আমানত। তাঁর নাম সরকারি ভাবে গেজেট প্রকাশ করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদজ্ঞাপন করেছেন আল মামুন আমানতের বন্ধ অজিত দাস।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে গতবছর শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে তীব্রতা পায়। ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে রংপুরের আবু সাঈদসহ সারাদেশে ছয়জন নিহত হওয়ার পর আন্দোলন সহিংস আকার ধারণ করে। আন্দোলন থামাতে দমন-পীড়ন আর মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার ঢাকামুখী জোয়ারের মধ্যে ৫ অগাস্ট নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া আন্দোলনের পর দুপুরে ঢাকামূখী হওয়ার পথে যাত্রাবাড়ী পুলিশের গুলি নিহত হন আল মামুন আমানত। ১৫ আগস্ট শহীদ আমানতের জানাযায় অংশগ্রহণ করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া এবং অপর সমন্বয়ক সারজিস আলম, ডিসি, এসপি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউছার আশা সহ অংখ্য ছাত্র- সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য যেযে, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান ২০২৪–এ শহীদদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার। গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এটি প্রকাশ করেন। সরকারি এ গেজেট অনুযায়ী, ওই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা ৮৩৪।