প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পরই সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। তবুও পয়েন্ট টেবিলের যে অবস্থা ছিল, তাতে রান রেটের একটা হিসাব বাকি ছিল বৈ কি।
কিন্তু শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে রান রেটের হিসাবকে সামনেই আসতে দিলো না বাংলাদেশের যুবারা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো টাইগার জুনিয়ররা।
আশিকুর রহমান শিবলির অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫৫ বল হাতে রেখেই শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান সংগ্রহ করেছিলো শ্রীলঙ্কা।
জবাব দিতে নেমে আশিকুর রহমান শিবলির ১৩০ বলে খেলা অপরাজিত ১১৬ রানের ওপর ভর করে ৪০.৫ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশের যুবা ক্রিকেটাররা।
গ্রুপ ‘এ’ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। রানারআপ হয়ে উঠেছে ভারত। ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। রানারআপ হয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক আরব আমিরাত।
সে হিসেবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে ভারতের। প্রথম সেমিফাইনালে পাকিস্তান খেলবে আরব আমিরাতের বিপক্ষে। দুটি সেমিফাইনালই অনুষ্ঠিত হবে ১৫ ডিসেম্বর।
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে লঙ্কান যুবারা।
দুই ওপেনার ৩৭ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন। ২১ রান করেন রাবিশান ডি সিলভা। ২৮ রান করেন আরেক ওপেনার পুলিন্দু পেরেরা। ২৫ রান করেন অধিনায়ক সিনেথ জয়াবর্ধনে। ২০ রান করেন দিনুরা কালুপাহানা, রুসান্দা গামাগে করেন ২৪ রান। শারুজান শানমুগানাথন করেন ২১ রান। ২৫ রান করে আউট হন বিশ্ব লাহিরু। ১৯ রান করেন রুবিশান পেরেরা।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ওয়াসি সিদ্দিকি ৩টি, মারুফ মৃধা এবং মাহফুজুর রহমান রাব্বি নেন ২টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে জিসান আলমের উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু অপর ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি এবং চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ৭৪ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন। ৩২ রান করে আউট হন রিজওয়ান। ১৮ রান করেন আরিফুল ইসলাম।
আহরার আলম ২৩ রান করে আউট হয়ে যান। পঞ্চম উইকেটে মোহাম্মদ শিহাব জেমসকে নিয়ে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়েন শিবলি।