বন্দরে সুতা ব্যবসায়ীর কাছে দাবিকৃত ১ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে ক্ষতি সাধনের ঘটনায় ৩ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে মাসুদ ও সাদ্দাম নামে আরো ২ চাঁদাবাজ। গত বুধবার রাত পৌনে ৪টায় বন্দর থানার রুপালী আবাসিক এলাকা থেকে ওই তিন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃত চাঁদাবাজরা হলো বন্দর থানার ২১নং ওয়ার্ডের সালেহনগর এলাকার আনোয়ার আলী মিয়ার ছেলে নিজাম উদ্দিন (৪৫) একই এলাকার আজহারুল মিয়ার ছেলে মিরাজুল ইসলাম জয় (২৭) ও একই এলাকার মৃত নাজমুল হাসান মিয়ার ছেলে ইমরান হাসান রুবেল (৪২) এ ঘটনায় ভূক্তভোগী সুতা ব্যবসায়ীহাজী আব্দুল খালেক মিয়া বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৩ চাঁদবাজসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি। যার মামলা নং- ৩৫(৯)২২। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ৩ চাঁদাবাজকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সুদূর মাদারিপুর জেলার শিবচর এলাকার হাজী শুক্কুর বেপারী ছেলে সুতা ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল খালেক মিয়া র্দীঘ দিন ধরে নারায়ণগঞ্জ শহরে সুতার ব্যবসা করে আসছে। এ সুবাদে সুতা ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল খালেক মিয়া রুপালী আবাসিক এলাকায় এসে বাড়ি নির্মান করে স্বপরিবার নিয়ে উল্লেখিত এলাকায় বসবাস করতে থাকে। এদিকে সালেহনগর এলাকার আনোয়ার আলী মিয়ার ছেলে বহু অপকর্মের হোতা নিজাম উদ্দিন একই এলাকার আজহারুল ইসলামের ছেলে সন্ত্রাসী মিরাজুল ইসলাম জয় ও একই এলাকার নাজমুল হাসান মিয়ার ছেলে চাঁদাবাজ ইমরান হোসেন জয়সহ উল্লেখিত চাঁদাবাজরা র্দীঘ দিন ধরে সুতা ব্যবসায়ী নিকট ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ৪টায় চাঁদাবাজরা ১ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে সুতা ব্যবসায়ী বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জানালার থাইগ্লাস ভাংচুর করে ১০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে চাঁদাবাজ নিজাম উদ্দিন, মিরাজুল ইসলাম জয় ও ইমরান হোসেন রুবেল নামে তিন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে মাসুদ ও সাদ্দাম নামে আরো ২ চাঁদাবাজ।