সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। নারায়ণগঞ্জের বাজারগুলোতে এখন ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ।
গতকাল শুক্রবার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
দিগুরবাবুর বাজারে পেঁয়াজের দাম শুনে চমকে ওঠেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মোঃ হোসাইন লিয়ন।
তিনি বলেন, ‘দাম শুনে চমকে উঠলাম। এক মাস আগেও এই পেঁয়াজ কিনেছি কেজি ৭০ টাকায়। এক মাসে দাম ৩৪ টাকা বাড়ল কীভাবে?’
শুধু পেঁয়াজ নয়, গত সপ্তাহের তুলনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম ১০-২০ টাকা বেড়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে দাম বেড়েছে।
দিগুরবাবুর বাজারে এক ব্যবসায়ী বলেন সাপ্লাই কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। এখন ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।
পেঁয়াজ আমদানিকারক মাজেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি, যার দাম বেশি।’
আমদানি শুল্ক, পরিবহন ও অন্যান্য খরচ হিসাব করলে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দাঁড়ায় কেজিপ্রতি ৯০-৯৫ টাকা।
পাবনার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শামসুর রহমান বলেন, ‘এখন পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত নয়। কৃষকদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ মজুদ থাকলেও তারা অল্প পরিমাণে বিক্রি করছেন, ফলে দাম বেড়েছে।’
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে নারায়ণগঞ্জ কাঁচাবাজারগুলোতে প্রায় সব ধরনের সবজির দামও কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।
টানা বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
গত সপ্তাহে শিমের দাম ছিল প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, যা গতকাল বিক্রি হয়েছে ১০০-১২০ টাকায়। করলা গতকাল ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, আগের সপ্তাহে দাম ছিল ৬০ টাকা।
একইসঙ্গে ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, কাঁচা পেঁপে ও লাউয়ের দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।
নারায়ণগঞ্জ দিগুরবাবুর বাজারের একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টি দেশের বিভিন্ন স্থানে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।