স্টাফ রিপোটার ঃ
‘আমি জানতে চাই রাইফেল ক্লাবের সামনে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড কেন থাকবে। একাধিকবার আমরা চিঠি দিয়েছি। প্রেস ক্লাবের প্রেসেন্টেশনে এই স্ট্যান্ড চলে এসেছে। এর চারপাশে আরও কতগুলো স্ট্যান্ড আছে, চাষাঢ়া ঘিরে। এত কিছু থাকতে ডিভাইডার উঠানোর কথা বলা হচ্ছে। আবার সরকার ইজিবাইকের অনুমোদন দিচ্ছে না। তাহলে আমি কিভাবে অনুমোদন দেই। প্রায়ই এদের ধরে নিয়ে জরিমানা করছি। ধরেন, সকলকে নারায়ণগঞ্জে একোমডেশন দিতে হবে। কিন্তু এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব না।’
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রেসক্লাবের আয়োজনে গোল টেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ও সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন প্রেস ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের সদস্য আফজাল হোসেন পন্টি ও জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালাম।
মেয়র আইভী বলেন, আমরা সিটি কর্পোরেশন হকার আন অফিশিয়ালী বসতে দেই নাই। সবসময় নির্দিষ্ট জায়গার কথা বলেছি, আচ্ছা এখানে বসো। হকারি দুই এক জায়গায় করতে হয়, করুক। আগে ওরা ডিআইটিতে বসতো, তাদের ডিআইটির পিছনে বসতে দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু রোড হকারমুক্ত করতে ২০০৩ সাল থেকে যে দিন থেকে পৌরসভার হয়ে এসেছি সেদিন থেকে কাজ করছি। এসপি সাহেব (ভারপ্রাপ্ত এসপি) বলেছেন হকারদের পুনর্বাসন করতে হবে। ৬ শ‘ হকারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে, আমার কাছে লিস্ট আছে। একজন এসপি যখন কথা বলবেন, রেসপন্সিবিলিটি নিয়ে কথা বলবেন। ৬ শ‘ হকারকে পুনর্বাসন করার পরও যে উনি (ভারপ্রাপ্ত এসপি) বলেন হকার উচ্ছেদ করা যাবে না। প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মুখ থেকে যখন এ কথা বের হয়, তখন কি আর হকার উঠবে।
তিনি বলেন, পুনর্বাসিত ৬ শ‘ হকারের লিস্ট আছে আমার কাছে। তারা তাদের দোকান বিক্রি করে রাস্তায় বসেছেন। পুরো শহর এখন হকারে ভর্তি। শহরের প্রতিটি রোড হকারে ভর্তি। আমরা এর প্রতিকার চাই। আমার কোন অজুহাত শোনার দরকার নাই। এনসিসির কোন কাজ করতে হবে, কোন জায়গায় উচ্ছেদ করতে হবে তা আমাকে সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হলে আমি তা করে দিব। কিন্তু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা ট্রাফিক ডিপার্টমেনেটর। এর সাথে সিটি কর্পোরেশনের কোন সম্পর্ক নেই। এসপি (ভারপ্রাপ্ত) সাহেব একটি চমৎকার কথা বলেছেন যে, আমি তো যানজটের জন্য ওই কোয়ার্টারে থাকি না। কেন ভাই ওই এলাকায় কি মানুষ থাকে না। আমরা থাকি না। আমাকে তো বন্দী করে রাখছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ট্রাক দিয়ে বন্দী। মেয়রকে আপনার সবসময় দোষারোপ করেন। আপনি (ভারপ্রাপ্ত এসপি) যদি ওই কোয়ার্টারে থাকতেন, তাহলে কিছুক্ষণ হলেও রাস্তা যানজটমুক্ত থাকতো। আমি অনুরোধ করবো আপনি ওই এলাকায় গিয়ে থাকেন। কারণ ওই এলাকায় ড্রেনের সমস্যা ছিল, পানির সমস্যা ছিল সব সমস্যা করে দিয়েছি। রাস্তা-ঘাট সুন্দর করে দিয়েছি।
গোল টেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, নারায়ণগঞ্জ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু, বিকেএমইএ এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রুহুল আমিন সাগর, বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামসুল কবিরসহ জনপ্রতিনিধি ও সকল শ্রেণীপেশার মানুষ।