কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অহিংস থেকে সহিংস আন্দোলনে রুপ নেয়। এর পিছনে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরাই যে মদদ ও অর্থায়ন করেছে তার প্রমাণ মিলছে ধীরে ধীরে। তবে পরিস্থিতি যখন বেগতিক ছিল তখনি দলের স্বার্থে নারায়ণগঞ্জের যে কজন ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতাকর্মীরাই মাঠে নেমেছেন, এর মধ্যে একজন নারায়ণগঞ্জ কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ও জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী জামিল হোসেন রনি।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে ইসলামী আন্দোলনের ব্যানারে নাশকতার উদ্দেশ্যে হাজারো জামাত শিবিরের কর্মীরা রাজপথে নেমে আসেন। এতে যোগ দেন বিএনপির নেতাকর্মীরাও। তখনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্বে জামিল হোসেন রনি ও তার সহযোগীরা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি দমন করতে মাঠে নামেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে জানা গেছে, নগরীর পালপারা এলাকায় দুর্বৃত্তরা অবস্থান নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এমন অবস্থায় সেচ্ছাসেবকলীগের নেতা রনির নেতৃত্বে তাদের ধাওয়া দিলে সটকে পরেন দুস্কিৃতিকারীরা। ভেস্তে যায় তাদের নাশকতার পরিকল্পনা। পরবর্তীতে পালপাড়া থেকে একটি মিছিল নিয়ে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিণ করে মন্ডলপাড়া হয়ে আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগারের সামনে এসে অবস্থান নেয় রনির নেতৃত্বে থাকা সেচ্ছা সেবকলীগের কর্মীরা। তবে যেদিন নারায়ণগঞ্জ জেরা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে ভাংচুর ও আগুন দেয়া হয় সেদিন অল্পেরে জন্য প্রাণে বেঁচে যান ভিপি জামিল হোসেন রনি। ছাত্রদের ভীড়ে থাকা বিএনপি ও শিবির কর্মীদের তান্ডবের কিছুক্ষণ আগেই পার্টি অফিসের বাহিরে থাকায় সেদিন প্রাণে রক্ষা পান রনি।
জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী ভিপি জামিল হোসেন রনি বলেন, অপশক্তিকে রুখে দিতে নারায়ণগঞ্জ সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা সচেষ্ট রয়েছে। এবার আর তাদের প্রতিরোধ নয় প্রতিঘাত করা হবে। নগরবাসীর জানমালের ওপর কোন ধরনের নাশকতার চেষ্টা করা হলে তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। যারা সাধারণ ছাত্রদের অহিংস আন্দোলনের কাধে ভর দিয়ে সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, তাদের সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও জিএম আরাফাতের নেতৃত্বে রাজ পথে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। স্বাধীনতাকে যারা মেনে নিতে পারেনি, তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।