সাদ পন্থী সন্ত্রাসীদের পূর্ব পরিকল্পিত অতর্কিত হামলা ও নিরীহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জুম্মা নগরীর ডিআইটি মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়।
মিছিলটি নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে চাষাড়া শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এসে শেষ করে।
এসময় ডিআইটি মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল আউয়াল তার বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করবো আপনারা দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি এ শব্দটা আর লিখবেন না। সাদ গ্রুপ তবলীগের বেশে মুনাফেক, তারা মুসলিম জাতির কলঙ্ক। সাদ এর আকিদা হলো হেদায়েত আল্লাহর কাছে নেই, হেদায়েত হলো নবীর কাছে। এমন একটা আকিদাই যথেষ্ট৷ সেই হিসেবে সাদকে এখন আর মাওলানা বলা যায় না। সে ইসরায়েলের দোসর, মোসাদের সাথে গোপন মিটিং করে সে আসছে বাংলাদেশকে অশান্ত করার জন্য। তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্রের হোতা ভারতের মোদি। মোদি ও ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগিতা নিয়ে দেশকে অশান্ত করার জন্য তারা এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
প্রশাসন, সাংবাদিক সহ রাষ্ট্রের সকলের কাছে আহ্বান থাকবে, আমাদের শহীদ ভাইদের রক্তের বিচার হতে হবে এবং ওয়াসিফ গং সহ তাদের সকলকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা এর জোর দাবী জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলার যেখানে যেখানে তারা মার্কাজ নাম দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তাদেরকে মোনাফেক আখ্যা দিয়ে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন জানে, আড়াইহাজার সহ তাদের সকল কর্মকান্ড বন্ধ করতে চেয়েছিলাম। আপনাদের বাহিনী পাঠিয়ে মার্কাজে যে অস্ত্রগুলো পেয়েছেন সেটা দেখার পরেও আপনারা কিভাবে তাদেরকে সঠিক তাবলীগী বলেন। এসব বিষয়গুলো সামনে রেখে আপনাদেরকে পদক্ষেপ নিতে হবে, তাদের পক্ষাবলম্বন করা যাবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, কাকরাইল মসজিদ তাদেরকে আর দেওয়া হবে না, টঙ্গী ইজতেমা একটাই হবে এবং বিশেষ করে সারাদেশে তাদের কর্মকান্ডকে বন্ধ করে দেওয়া হবে। যদি এগুলো বাস্তবায়ন না হয় তাহলে সারাদেশে আগুন জ্বলবে, সে আগুনকে সরকার থামাতে পারবেনা। উপদেষ্টাদের বলবো, এসকল ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসরদের চিনে নিন। যদি তাদেরকে চিনতে ভুল হয় তাহলে আমাদের দেশকে বিনির্মান করতে আমাদের কষ্ট হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা জাকির হোসেন কাসেমী, মাওলানা জোবায়ের আহমেদ, মাওলানা আব্দুল কাদীর সহ হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি।