ভারতের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও হৃদয় ভাঙার গল্প হরহামেশাই লিখে থাকে বাংলাদেশ। তবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে এবার উল্টো গল্প লিখেছে মেয়েরা। প্রথমার্ধের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ম্যাচও জিতে নেয় দলটি। ভারতকে হারিয়েই শিরোপা পুনরুদ্ধার করল বাংলাদেশ।নেপালের কাঠমুন্ডুতে আজ রোববার বিকেলে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ভারতকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় ম্যাচটি। এর আগে ২০১৭ সালে এই শিরোপা জিতেছিল মেয়েরা।এই জয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হল বাংলাদেশ। রাউন্ড রবিন পর্বে এই ভারতের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছিল তারা।
এদিন ফাইনালে বাংলাদেশের নায়ক হয়ে ওঠেন গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম। টাইব্রেকারের ভাগ্য নির্ধারণে ভারতের তিনটি প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন এই গোলরক্ষক। তবে বাংলাদেশের হয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি দলের দুই সেরা খেলোয়াড় – সৌরভি আকন্দা প্রীতি এবং আল্পি আক্তার। কিন্তু ইয়ারজানের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে ফেরে লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা।
টাইব্রেকারের প্রথম শট নেওয়া সুরভী আকন্দ প্রীতি মিস করেন। তার শট ঠেকিয়ে দেয় ভারতের বদলি গোলরক্ষক। ম্যাচ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে গোলরক্ষক বদল করেন ভারতীয় কোচ। তবে ভারতের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শট টানা সেভ করে বাংলাদেশের গোলরক্ষক ইয়ারজান উল্টো এনে দেন। চতুর্থ শটে ভারত সমতায় ফেরে। পঞ্চম শটে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন সাথী মুন্ডা। টিকে থাকতে হলে শেষ শটে গোল করতেই হতো ভারতকে। তবে বাংলাদেশের গোলরক্ষক শেষ শট সেভ করায় ৩-২ ব্যবধানে শিরোপা জিতে নেয় বাংলাদেশ।
এদিন ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। আনুশকা কুমারী দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে দিয়েছিলেন ভারতকে। ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলাদেশ সফলতা পায় ৭১তম মিনিটে। মারিয়াম বিনতে হান্না হেডারে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।এই জয়টি বাংলাদেশ ও কোচ সাইফুল বারী টিটুর জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও সন্তুষ্টির। কারণ মাস খানেক আগে ঢাকায় অনূর্ধ্ব-১৯ স্তরের ফাইনালে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ট্রফি ভাগাভাগি করতে হয়েছিল। সেই ম্যাচটিও পেনাল্টিতে গিয়েছিল, কিন্তু প্রতিটি দলের ১১টি শটের পরেও বিজয়ী খুঁজে পায়নি। এরপর কিছুটা বিতর্কের পর ভাগাভাগি করা হয় ট্রফিটি।