শহর সংবাদদাতা: আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার আসামী নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে জাকির খান অসুস্থ থাকায় এবারও তাকে আদালতে আনা হয়নি। তাই তার অনুপস্থিতেই চলে সাক্ষ্যগ্রহণ।
রোববার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) উম্মে সারবান তাহুরার আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মামলার ১৫ নাম্বার সাক্ষী চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ড্রাটিজের ততকালিন সচিব আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া উল্লাস ও ১৬ নাম্বার সাক্ষী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ঠিকারদার গোলাম সারোয়ার বাদল আদালতে তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। তারা দুইজনেই এ মামলার জব্দ তালিকার সাক্ষী। এ নিয়ে মোট ৫২ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো।
এ বিষয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজীব মন্ডল বলেন, ১৫ নাম্বার সাক্ষী আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া উল্লাস আদালতকে বলেছেন তার সামনে কিছু জব্দ করা হয়নি। তিনি কিছু দেখেন নাই এবং মার্ডার সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। অপরদিকে ১৬নং সাক্ষী গোলাম সারোয়ার বাদল বলেছেন, সাব্বির আলম খন্দকারের ছোট ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের কাউন্সিলর অফিসে নিয়ে পুলিশের সামনে সাদা কাগজে তার সাক্ষর রাখে। তিনিও বলেছেন, এ হত্যার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। সুতরাং এ পর্যন্ত কোন সাক্ষীই প্রমাণ করতে পারেনি জাকির খান এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। তাই আমরা আশা করছি, খুব শীঘ্রই জাকির খান জামিন পাবেন এবং এ মামলা থেকে খালাস পাবেন। এ মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ২০ অক্টোবর।
এদিকে বরাবরের মতো এবারও জাকির খানের মুক্তি দাবি মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাকির খান মুক্তি পরিষদ। মিছিলটি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড (চানমারি) থেকে বের হয়ে নারায়ণগঞ্জের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা ও মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা জাকির খানকে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে ওই তৈমূর, যার নাম মুখে আনতেও ঘৃণা করে কারণ ওনি আওয়ামী লীগের দোসর। ওই দোসরা আমাদের নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা অবিলম্বে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ জাকির খানের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।