ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির সহযোগী। সেই পরিচয়ে পেয়ে যান সিদ্ধিরগঞ্জ ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য পদও। পদ পাওয়ার পর থেকে তাকে আর বসে থাকতে হয়নি। আওয়ামী লীগের পরিচয়ে এবং মতির প্রভাব খাটিয়ে ওই ওয়ার্ডের গোদনাইল পদ্মা অয়েল কোম্পানীর তেল চুরি হয়েছেন কোটিপতি। অভিযোগ রয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ওসমানদের সাথে থেকে ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালানোরও।
৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে চলে গেলেও কোন এক রহস্যজনক কারনে এখনও বহাল রয়েছে মতির সহযোগী আওয়ামী লীগ নেতা শেখ দেলোয়ার হোসেন ওরফে মামা দেলু। শুধু তাই তিনি নিজেকে এখন বিএনপি নেতা বলেও পরিচয় দিচ্ছেন বলে জানাগেছে।
জানাগেছে, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী শেল্টারে পুনরায় নিজ এলাকায় বহাল থেকে এখনও চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ তেল চুরির ব্যবসা। তবে আগে তেল চুরির টাকার ভাগ সাবেক কাউন্সিলর মতি পেলেও বর্তমানে এ তেল চুরির টাকা কয়েকটি ভাগে বন্টন করা হচ্ছে। যা থেকে বড় একটা ভাগ ওই শেল্টারদাতা বিএনপি নেতারা নিয়ে থাকেন বলে জানাগেছে।
এদিকে এ ঘটনায় জনমনে নানা প্রশ্নের সঞ্চার হতে দেখা গেছে। এ ঘটনায তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, এত সহজে শত শত শহীদদের কথা কি করে ভুলে গেলে বিএনপি নেতারা। আজকের এমন সব ঘটনা দেখার জন্যই কি সেদিন তারা রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলো। ছাত্র-জনতার ওপর সেদিন যারা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে, তাদের সাথে মিলে এসব কাজ করতে কি বিএনপিদের একটুও লজ্জা করেনা। ছি: ধিক্কার জানাই তাদের। তাদের মত বিএনপি নেতাদের জন্যই আজকে বিএনপির এবং দেশের এ অবস্থা। আমরা শুধু ওই তেল মামা দেলুরই শুধু নয়, তার শেল্টারদাতাদেরও গ্রেফতাদের দাবি জানাচ্ছি।