নারায়ণগঞ্জ আপডেট : এসো মিলি প্রাণের বন্ধনে, স্মৃতির কলতানে..’ এ স্লোগানে হৈ হুল্লোড় ও আনন্দে মেতে ছিলো নারায়ণগঞ্জের অন্যতম শতবর্ষী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-জয়গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যাচ-৯৭ এর বন্ধুরা। সকালের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া সড়ক এসব কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি এ আনন্দযাত্রায়। চল্লিশ পেরোনো সকলের বয়স যেন এসে নেমেছিল ২০ এর কোটায়।
সকালে সাড়ে ৭টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সামনে সকলের জড়ো হওয়া। একসঙ্গে সকলের নাস্তা খাওয়া। এরপর ঢাকার কেরানীগঞ্জের গ্রা- ভাওয়া রিসোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া। বাইরে বৃষ্টি কিন্তু বাসের ভেতরে চলছে হৈচৈ আর গানের আসর। গাড়িটি গুলিস্তান পেরোতেই সড়কে জমে থাকা পানিতে তলিয়ে যায়। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি। কিন্তু হাঁটুর উপরে উঠে যাওয়া পানিও বাসকে আটকে রাখতে পারেনি। কয়েকজন বন্ধু নেমে পড়ে পানিতে। ধাক্কাতে ধাক্কাতে প্রায় এক কিলোমিটার গাড়িটিকে সামনে নিয়ে আসে। আবার চলতে শুরু করে গাড়ি। আবার শুরু হয় গানের আসর। অবশেষে পৌছায় গন্তব্যে।
ঝটপট জামা-কাপড় পাল্টিয়েই সবাই নেমে পড়ে সুইমিংয়ে। সাতার আর জলকেলিতে একটানা কয়েক ঘণ্টার জলের সঙ্গে মিতালী শেষে বিকাল ৪টায় খাওয়া হয় দুপুরের খাবার।
আসরের নামাজের পরে সবাই বসে ছোট্ট একটি মতবিনিময় সভায়। সেখানে করা হয় ভাগ্য পরীক্ষার লটারী কুপন। আলোচনায় বন্ধুরা স্কুলের ফাউন্ডেশন, কার্যকরী কমিটি ও স্কুল প্রতিনিধি এসব বিষয় নিয়ে মতামত তুলে ধরে।
সন্ধ্যার আগে বিকালে নাস্তা, খোলা মাঠে প্রাণভরে শ^াস নিতে নিতে ভেসে আসে মাগরিবের আজান। এবার ফিরে যাবার পালা। দিনভর বন্ধুদের সঙ্গ ছেড়ে যেতে চাইছে না মন, তবুও ঘরে ফিরতে হবে। হয়তো সারাদিনের আনন্দভ্রমণের স্মৃতি হয়ে থাকবে অসংখ্য ছবি ও কয়েক হাজার সেলফি।
জয়গোবিন্দ স্কুলের এ ঈদ পুনর্মিলনীতে জড়ো হয়- ড. মো: ইকবাল হোসেন, শেখ ফখরুদ্দীন আলী আহমেদ তমাল, হাজী আরমান, মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, শিশির আহমেদ মাসুম, নাঈম চৌধুরী, হাজী আরিফ হোসেন, হাজী জসিম, তনয় সাহা, সুমন সাহা, আব্দুস সাত্তার মাসুম, তন্ময় মুখার্জী, স্বপন আহমেদ, খালেদুর রহমান উজ্জ্বল, জামিল হাসান রনি, হাসান মাহমুদ রানা, রাকিব হোসেন, শহর বাউল জন, শরীফ শিকদার, মাহবুল আলম মিঠু, মোহাম্মদ জনি, রিয়াজ হোসেন, নজরুল ইসলাম রোমান, নাদিম হোসেন দীপু, শ্যামল আহমেদ, রতন হোসেন, শরীফ হোসেন, ইকবাল হোসেন, মামুন আহমেদ, ফাহাদ খাঁন রিমন ও সারাদিন সকলের ছবি তুলে ছবিতে না থাকা সাদ্দাম হোসেন মির্জা (ওয়ারদে)।
প্রকাশক : অজিত দাস