প্রথম ইনিংসে ২৬৭ রানেই নয় উইকেট পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু এরপর জশ হ্যাজলউডকে নিয়ে অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়েন ক্যামেরুন গ্রিন। দশম উইকেটে ১১৬ রানের দুর্দান্ত এই জুটিতেই দ্বিতীয় দিনেই টেস্টের লাগাম নিজেদের হাতে নিয়েছে অজিরা।শুক্রবার ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ২১৭ রানে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৩৮৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ১৩ রান তুলে দিন শেষ করেছে তারা। এর আগে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ১৭৯ রানে অলআউট হয়।তবে সব ছাপিয়ে আলোচনায় গ্রিন-হ্যাজলউডের জুটি। ৩১.১ ওভার স্থায়ী এই গ্রিনের অবদান ১২৬ বলে ৮৮ রান। হ্যাজলউডের অবদান ২২ রান। তবে ৬২টি মূল্যবান বল মোকাবেলা করেছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে এ নিয়ে ২৮ বার শেষ উইকেট জুটিতে একশ কিংবা তার বেশি রান দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। যেখানে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড করেছেন সর্বোচ্চ ছয়বার করে। শেষ উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিটি ১৯৮ রানের। ২০১৪ সালে ট্রেন্টব্রিজে ভারতের বিপক্ষে এ জুটি গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের জো রুট ও জেমস অ্যান্ডারসন।
অজিদের এই দুর্দান্তটির সমাপ্তি ঘটে হ্যাজলউডের বিদায়ে। ম্যাট হেনরির বলে রাচিন রবীন্দ্রর হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে দারুণ এক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত পরাজিত থাকেন গ্রিন। ২৭৫ বলে করেছেন হার না মানা ১৭৪ রান। ২৩টি চার ও ৫টি ছক্কা দিয়ে সাজান নিজের ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৭০ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন হেনরি। এছাড়া ২টি উইকেট উইকেট পান উইলিয়াম ও’রোর্কে ও স্কট কুজ্ঞেলেইন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৯ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে কিউইরা। এরপর টম ব্লান্ডেলের সঙ্গে ৮৪ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন গেল ফিলিপ্স। তবে এ জুটি ভাঙতেই দ্রুত আরও একটি উইকেট হারায় তারা। এরপর হেনরির সঙ্গে ৪৮ রানের আরও একটি জুটি গড়েন ফিলিপ্স। তবে এরপর নাথান লায়নের ঘূর্ণিতে ১৮ রানে শেষ চার উইকেট হারালে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন ফিলিপ্স। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে ৭০ বলে ১৩টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। হেনরির ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। ৩৪ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। এছাড়া ৩৩ রান করেন ব্লান্ডেল। এই তিন ব্যাটার ছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন ড্যারিল মিচেল। তার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৪৩ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন লায়ন। ২টি শিকার হ্যাজলউডের।
এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে টিম সাউদির তোপে দুই উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথকে খালি হাতে এবং মার্নাস লাবুশেনকে ব্যক্তিগত ২ রানে বিদায় করেন সাউদি। তবে উসমান খাওয়াজা ৫ ও নাথান লায়ন ৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন।