নারায়ণগঞ্জে মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃতীয় লিঙ্গের আটজনকে আটক করেছে র্যাব-১১। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব। যার আনুমানিক বাজার মূল্য এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা।
সোমবার (২২ মে) র্যাব-১১ এর সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার (উপ-পরিচালক) একেএম মুনিরুল আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
এর আগে গতকাল রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুরের রাফি ফিলিং স্টেশনের আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোট ৩৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (৩ কেজি ২৯০ গ্রাম) উদ্ধার করেন র্যাব সদস্যরা।
আটককৃতরা হলেন- রফিক ওরফে ললিতা (৪০), রবি আলম ওরফে বিউটি (৪০), একরাম ওরফে পরীমনি (২২), রবি আলম ওরফে প্রিয়া (২৪), মো. আল-আমিন ওরফে নিশি (৩৫), রায়হান ওরফে আঁখি (২০), সাবের ওরফে বিজলী (২২) ও ফারুক ওরফে রিয়ামনি (২৫)। তারা সবাই কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা বলে জানায় র্যাব।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং এই দলের দল নেতাসহ সবাই তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য। তারা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অত্যন্ত কৌশলে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের বাহানায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। এই সক্রিয় চক্রটি পারস্পারিক যোগসাজসে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বড় আকারের চালান দীর্ঘদিন যাবৎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তারা এ সকল মাদকদ্রব্য নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে সরবারহ করে থাকে। আটককৃত ৩৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৫ লাখ টাকা।
এছাড়াও আটক মাদক ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদে মাদক চোরাচালানের আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে র্যাব। জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনতে সংস্থাটি গোয়েন্দা নজরদারি ও আভিযান অব্যাহত রেখেছে। আটকদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।