চোটে পড়ার আগে কেবল ৫০ মিনিটই মাঠে থাকতে পেরেছেন লিওনেল মেসি। তবে এরমধ্যেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন ইন্টার মায়ামি অধিনায়ক। লুইস সুয়ারেজকে দিয়ে একটি গোল করানোর পর নিজেও করেছেন একটি গোল। দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে রেখেই মাঠ ছাড়েন। এরপর বাকীটা সামলে নেন সতীর্থরা।বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকালে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ন্যাশভিল এসসিকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইন্টার মায়ামি। প্রথম লেগের ম্যাচ ড্র হয়েছিল ২-২ ব্যবধানে।এদিন ম্যাচের অষ্টম মিনিটে সুয়ারেজের গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে মেসির বাড়ানো বল ধরে বাকি কাজ সারেন এই উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড। এরপর ২৩তম মিনিটে ন্যাশভিলের ডি-বক্সে মেসিকে বল বাড়ান দিয়েগো গোমেজ। বাঁ পায়ের দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে পাঁচ মিনিট যেতেই পায়ে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন মায়ামি অধিনায়ক। আর তাতে বেশ খুশি হয়েছিলেন ন্যাশভিল কোচ গ্যারি স্মিথ, ‘প্রথম ১৫ মিনিটে লিওনেল মেসি খুবই ধারালো ছিল। সে দলের বাকিদের উপর অনেক বড় প্রভাব রেখেছে। হ্যাঁ, তাদের দলে অন্যান্য খুব ভাল খেলোয়াড়ও আছে, কিন্তু এমন কেউ নেই যে সে যা করতে পারে তা করতে পারে।’প্রথমে, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। …তাকে (মেসি) চলে যেতে দেখে আনন্দিত হয়েছিলাম, আমি সত্যিই ভেবেছিলাম যে তাদের পারফরম্যান্স কমে গেছে, এবং এটি আমাদেরকে কিছুটা উৎসাহ দিয়েছে,’ যোগ করেন ন্যাশভিল কোচ।
উল্লেখ্য, মেসি মাঠ ছাড়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালায় ন্যাশভিল। তবে এরমধ্যেই রবার্ট টেইলর আরও একটি গোল করে ছিটকে দেন তাদের। এরপর শেষদিকে স্যাম সারেজ একটি গোল শোধ করলেও তাতে কোনো সমস্যা হয়নি মায়ামির। শেষ আটে পা রাখে দলটি।