গত ৫ই আগষ্ট ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের সময় নিহত হন আমানত(৩৫) ৫ই আগষ্ট ছাত্রদের উপর নির্বিচারে হামলা করার সময় ঢাকা যাত্রাবাড়ি পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। স্বজনেরা ১৪ আগষ্ট তাঁর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে শনাক্ত করেন।
আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে গত বছরের ১৫ আগষ্ট আমানতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমানত ২০০২ শাল হতে নারায়ণগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সাখার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
১৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া শহীদ মিনারে আমানতের নামাজের জানাজার আয়োজন করা হয়েছিল। ১৬ আগস্ট কুমিল্লা কৃষ্ণপুর আমানতের নিজ গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিহত আমানতের একমাত্র ভাই,ও বন্ধু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউছার আশা জানান, আমানত নারায়ণগঞ্জ চাষারাস্থ্ বিএনপির এক দফা দাবীতে আন্দোলন শেষে যাত্রাবাড়ি যাচ্ছিল। যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচার ১ নম্বর গেট এলাকার পুলিশের গুলিতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে আন্দোলনরত ছাত্ররা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর থেকে আমানতের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কোন খোজ মিলছিল না। গত ১৪ আগষ্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এসে আঙুলের একটি কালো রঙের আংটি, চুল-দাড়ি দেখে তাঁরা আমানতের লাশ শনাক্ত করেন। পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সহায়তায় পুলিশ আমানতেন মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে নারায়ণগঞ্জ ও তার গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে দাফনের সম্পন্ন করা হয়