নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের চর সৈয়দপুর এলাকার ১২ মামলার আসামী সন্ত্রাসী রানা বাহিনীর দাবীকৃত চাদাঁ না দেওয়ায় হামলায় মাজেদ নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছে। ২০ অক্টোবর দুপুরে সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকার শীতলক্ষ্যা ব্রীজের সামনে এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু এই ঘটনায় আহত ভুক্তভোগি মাজেদের বোন আছমা আক্তার বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগি পরিবার থানায় অভিযোগ করার পরেও সন্ত্রাসীদের হুমকি ধমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। একই সাথে অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশের এখনো পর্যন্ত আসামীদের গ্রেপ্তার কিংবা মামলা রুজুর বিষয়ে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। সন্ত্রাসী রানার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের ৪টি হত্যা মামলা রয়েছে। অথচ এই রানা বাহিনীর দাবীকৃত চাদাঁ না দেওয়ায় প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে মানুষের উপর হামলা চালিয়ে নির্যাতন করছে। অথচ ভুক্তভোগি পরিবার মামরা রুজুর করার তাগিদ দিলেও এস আই রমজান এবং নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়ে কালক্ষেপন করে যাচ্ছে।
অভিযোগে আছমা আক্তার উল্লেখ্য করে বলেন , হত্যা, চাদাঁবাজি,মাদক মামলা সহ প্রায় ১২ টি মামলার আসামী সদর থানা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক রানা বাহিনী অপকর্ম করে যাচ্ছে। তার বাহিনী নিয়ে ২০ অক্টোবর দুপরে সেয়দপুর ৩য় শীতলক্ষা ব্রীজে আমার ভাই মাজেদের কাছ থেকে দাবীকৃত চাদাঁ না দেওয়ায় তাকে ধরে নিয়ে পলাশের কসমেটিক্স দোকানে নিয়ে মারধর করে। ৯ জনের নাম উল্লেখ্য করে থানা অভিযোগ দেয়্ াহয়। অভিযুক্তরা হলেন, সদর থানা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক রানা, পলাশ, তামিম,শরীফ,জিহাদ,শহিদ,পলক,রনি, রবিউল।
তিনি আরও বলেন, রানা তার বাহিনী নিয়ে আমার ভাই মাজেদকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে এলোপাথারি ভাবে কিলঘুুষি দিয়ে নিলা ফুলা জখম করে। একই সাথে আমার ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে থাকা ২৫ হাজার টাকা মুল্যের পাচ আনা স্বর্ণের কানের দুল,ত্রিশ হাজার টাকার এন্ড্রোয়েট মোবাইল এবং সাথে থাকা ২৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে আমার মা রেহেনা পারভিন রানা বাহিনীর সন্ত্রাসীরা মিলে তার উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে আহত করেন। একই সাথে তার সাথে আট আনা ৪৫ হাজার টাকা মুল্যে স্বর্নের চেইন ৩ ও ৪ নং বিবাদী নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা তারা চলে যাওযার সময় বলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে আইনের আশ্রয় নিলে তারা আমাদেরকে হত্যা করে ফেলবে। ইতোমধ্যে তারা আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন।এসময় ভুক্তভোগি রেহেনা পারভিন বলেন, সোমবার ২১ অক্টোবর সকালে চাদাঁবাজ রানার পিতা, জলিল, চাচা খলিল আমাকে মামলা না করার জন্য হুমকি ধমকি দেন। এমনকি জলিল বলেন,১২ টা মামলার আসামী হয়েছি প্রয়োজনে আরও একটা মামলার আসামী হবো। তার পরেও তদের দেখ নিব। প্রয়োজনে কয়েক কোটি টাকা ভেঙ্গে ফেলবো। এর প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগি রেহেনা পারভিন নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় জিডি করেন। যার জিডি নং ১২৪১।
জানাযায় বছর খানিক আগে গোগনগর ইউনিনের সংরক্ষিত নারী মেম্বার নিলুফা বেগম সন্ত্রাসী রানাকে গ্রেপ্তার করে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য মালিবাগ সিআইডি অফিসে আবেদন জানান। ২০২২ সনের ১৫ মার্চ গোনগরের ৭,৮.৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য নিলুফা বেগমের বাড়ির সামনে পূর্ব সুত্রতার জের ধরে হামলা চালায় রানা বাহিনী। হামলার এক পর্যায় রানার হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে এলাপাথারি গুলি চালালে তখন তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তখন রানা ৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে সদরন থানায় মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নম্বর ০১। এছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে নিহত হওয়া মামলায় রানার নাম রয়েছে। ফতুল্লা মডেল থানা মামলা নং ৩৪ যা ২৯ আগষ্ট মামলা রুজু হয়। ফতুল্লা মডেল থানা মামলা নং ৩০ যা ২৮ আগষ্ট এবং মামলা নং ০৫ যা ৫ সেপ্টেম্বর মামলা রুজু হয়।
এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগের ঘটনায় তদন্তকারী এস আই রমজান ২০ অক্টোবর রাতে বলেন, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করেছি। ভুক্তভোগিকে মাইরধর করার বিষয়ে সত্যতা পেয়েছি। তবে টাকা পয়সা এবং স্বর্নের চেইনের বিষয়ে কিছু জানা যায় নাই। আমি তদন্তে যা পেয়েছি আদালতে প্রসিকিউশন দিব তখন আদালত তাদের ডাকবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলে দিচ্ছি।