চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টে আত্মসমর্পণ করেছেন জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টে তিনি জামিননামা দাখিল করেন। এসময় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
সেলিম প্রধান জানান, আজকে আমি পূণরায় কোর্টে হাজির হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ক্যাসিনো সহ অন্য যে মামলা হয়েছে সেগুলো ভুয়া। আমার বিরুদ্ধে আরো একটি ভুয়া মামলা হয়েছে। বালু হাবিব ও ভূমিদস্যু মুজিবুর আমার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে, আমি নাকি কাকে পিস্তল ঠেকিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়েছি।সময় উল্লেখ করেছে ৫ আগষ্ট দুপুর আড়াই টায়, অথচ আমি সে সময় আমি ঢাকায় ছিলাম। গাজী যেমন চেয়েছিলো আমি রুপগঞ্জের বাইরে থাকি ঠিক তেমনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তার লোকগুলাই আমার বিরুদ্ধে মামলা করছে। দিপু ভূইয়া ঐসব লোকদের দিয়ে, যারা একসময় গাজীর লোক ছিলো তাদেরকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করিয়েছে। যা কিনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কারন মামলায় যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে সেই সময়তো আমি রুপগঞ্জেই নেই। আর আমার জীবনে চাঁদাবাজি করার প্রশ্নই উঠেনা।
খুব কষ্টের সাথে বলছি, রুপগঞ্জ ছাত্রলীগের যত কর্মী আছে সব এখন দিপু ভূইয়ার সাথে। রাজনীতি কি কোন গ্যাং নাকি ? অনেকে বলে প্রধান সাহেব আপনিতো কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত না, সেজন্য আপনি কোন সামাজিক কাজ করতে পারবেন না। সামাজিক কাজ করতে হলে আপনাকে রাজনীতিবিদ হতে হবে। আমিতো বলি সামাজিক কাজ করতে হলে কেনো আমাকে রাজনীতিবিদ হতে হবে। রাম্তার মোড়ে মোড়ে যে সাইনবোর্ড-বিলবোর্ড লাগানো আছে, এগুলা কেনো লাগায় জানেন। এগুলা হচ্ছে চাঁদাবাজির একটা ফর্মুলা।
রুপগঞ্জের এমন কোন স্থান নেই যেখানে চাঁদাবাজি হচ্ছে না। সরকারকে বলবো এর একটি ন্যায্য বিচার করতে। ৫ আগস্টের পর থেকে সেই একই পরিস্থিতি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে পারবেন না। আরে ভাই এটাতো আমার নাগরিক অধিকার। এর জন্যইতো আমরা যুদ্ধ করলাম। কথা বললে চাঁদাবাজি মামলা দিবে, গুন্ডা বাহিনী দিয়ে হয়রানী করবে। আওয়ামী লীগের লোকজন দিপুর সাথে মিলে আমার জায়গা দখল করে রেখেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ এখনো ভয় পায়। কাজ করার জন্য পুলিশকে স্বাধীনতা দিতে হবে। রুপগঞ্জ থানা মামলা নিতে চায় নি, কিন্তু তারপর দিন রাত সাড়ে দশটায় অভিযোগ পত্র নিয়েছে। এজন্য শক্তি প্রয়োগ করতে হয়েছে। বার বার দিপু ভূইয়া, খোকন ফোন দিয়েছে। আমি ছাত্র-জনতা সকলের কাছে আহ্বান করবো, আমার বিরুদ্ধে যেসকল মামলা রয়েছে আপনারা চেক করে দেখুন। সত্যিটা আপনারা জানতে পারবেন। ভালো কাজের জন্য আমি সবসময় ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।
আইনজীবী আশরাফুল বারী ভূইয়া জানান, সেলিম প্রধান ও নবী হোসেনের বিরুদ্ধে একটি কথিত চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। তারা হাইকোর্ট বিভাগ থেকে সেই মামলায় ৮ সপ্তাহের জামিন নিয়েছেন। আজকে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহমানের আদালতে জামিননামা দাখিল করেছি। আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন।