ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা ও সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে শহরে বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালিতে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল এগারোটায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এই বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি শহরের মিশনপাড়া মোড় থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে নিতাইগঞ্জ নগর ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এসময়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা মাথায় স্বেচ্ছাসেবক দল লেখা হলুদ ক্যাপ ও সাদা ফিতা বেঁধে, হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিকৃত বড় বড় ফেস্টুন – ব্যানারে সুসজ্জিত হয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো শহর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশ ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক অধ্যায়। ৭ই নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে এদেশে বহু দলীয় গণতন্ত্রে প্রতিষ্ঠা করেছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া রহমান বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আধুনিক বাংলাদেশের রূপান্তিত করেছিল।
তিনি আরও বলেন, গত পাঁচ এ আগস্ট এর ছাত্র-জনতা দুর্বার আন্দোলনের ফসল হচ্ছে এই অন্তবর্তীকালীন সরকার। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য এদেশের ছাত্র-জনতা কিন্তু রক্ত দিয়েছে।
এই অন্তবতী সরকারকে দেশের মানুষ মেয়েদের দিয়ে মেন্ডেড দিয়েছেন কিভাবে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা যায়। সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা করেন মাধ্যমে মানুষের গণতান্ত্রিক ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই সরকারকে ক্ষমতায় দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশের মাধ্যমে যে সকল সংস্কার প্রয়োজন সেগুলো সংস্কার করে স্বল্প সময়ের মধ্যে আপনাদেরকে নির্বাচন দিতে হবে। এবং নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে আপনাদেরকে দায়িত্ব ছাড়তে হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবির্ভাব হয়েছিল। ফ্যাসিস খুনি আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫টি বছরে বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করে ফেলেছে।
বাংলাদেশের সর্বভৌমত্ব ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামক তারা মুছে ফেলতে চেয়েছিল। তারা বেগম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির নামগুলোকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল।
তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিভিন্ন দলের মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে দেয়নি। তাই স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে। আগামী প্রজন্মকে জানিয়ে দিতে হবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষক।
তিনি আরও বলেন, খুনি শেখ হাসিনা গত ১৬টি বছর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে, বাক স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের অধিকারকে হরণ করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে এবং মানুষের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।
আজকে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রেখে যাওয়া ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগামী দিনের ৩১ দফা যে কর্মসূচি তা বাস্তবায়ন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, বাংলাদেশের অপর নাম জিয়াউর রহমান। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর ৪৩ বছর পরও কিন্তু তার জনপ্রিয়তা ও এখনো দেশের মানুষের মাঝে ধানের শীষের ভালোবাসা একটুও কমেনি।
তার উদাহরণ আমরা আজকেও যারা রাজপথে রয়েছি। বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল রাজপথে ছিল এবং ভবিষ্যৎ থাকবে ইনশাল্লাহ।
আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা ও সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন জনি, যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান সুমন, সাহেব উল্লাহ রোমান, ভিপি নজরুল ইসলাম, দুলাল হোসেন, শাহিন আহম্মেদ, আক্তার হোসেন, মাহাদী হাসান মিঠু, রায়হান হক, রেজাউল করিম, শাকিল আহমেদ, আক্তার হোসেন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমান শিকদার (দপ্তরের দায়িত্বে) ,হাসানুজ্জামান লিমন (সহ-দপ্তরের দায়িত্বে), শরিফুর রহমান, জাকির হোসেন জুয়েল,সাইফুল ইসলাম,মুনতাছির রহমান স্বপন, রাজা মিয়া, রুহুল আমিন, আমিনুল ইসলাম, আনিছুর রহমান রানা, উজ্জল হোসেন, আক্তার হোসেন টুটুল,মিজানুর রহমান, রবিউল ইসলাম রবি, আরমান সরদার, আনিছুল হক বাবু,গোলাম মোস্তফা,মনির হোসেন (১১ নং ওয়ার্ড), রুবেল হোসেন ( গোগনগর), মাহবুব হোসেন, বাধন মজুমদার, মাহাবুবুর রহমান, জামাল হোসেন, মানিক মন্ডল, বোরহান ঢালী, লুৎফুর রহমান লিটন, ইসমাইল খান মো. আলমগীর, জুবায়ের আহমেদ রোহান,আকিব কাউসার, মনির হোসেন (১২ নং ওয়ার্ড),আনোয়ার হোসেন আনু, মো. শাহাবুদ্দিন, রোমান ইসলাম, আফসার কাজী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহ্ আলম মাষ্টার, রিপন সরকার, লুৎফর রহমান রাসেল, রেদোয়ান হোসেন পাপ্পু, কবির হোসেন, ইকবাল হোসেন, আহমেদ হুমায়ুন কবির, আল আমিন, জনি, শাহরাজ, কাদির, ফিরোজ, রবিউল, নুরনবী, হায়দার, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাকির হোসেন, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোশারফ হোসেন মশু, ইউসুফ, সুজন মোল্লা, প্রবন, কায়সার ভূঁইয়া, বন্দর উপজেলা সোহেল প্রধান, মামুন, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহাবুদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন দেলু, শ্যামল, হিমেল, নুরুজ্জামান, মিঠু, হাবিবুর রহমান,মঈনসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।