নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করার প্রায় এক বছরের অধিক সময় পার হলেও সাংগঠনিক কর্মকান্ড চলছে বেশ ধীর গতিতে। তবে সাংগঠনিক কর্মকান্ডতে ধীরগতি থাকলেও দখলবাজীর রাজনীতিতে রয়েছেন বেশ এগিয়ে। নগরীর বিভিন্ন দুরপাল্লার বাস কাউন্টার, ঝুট সেক্টর, পরিবহন সেক্টর, ফুটপাতে দোকান বসিয়ে মাসোহারা আদায়, জেনারেটর লাইন সংযোগ দিয়ে হকারদের নিয়ন্ত্রনে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল কাউছার আশা কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার পর তৎকালিন সময়ে মহানগরের সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে সবস্তরেই পরিচিত ছিলো।
সেই সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আওতাধীন প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার পাশাপাশি সাংগঠনিক অবস্থান ছিলো খুবই শক্তিশালী। যদিও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সেই কমিটি বিলুপ্তি করে নতুন কমিটি ঘোষনা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সেই সাথে আবুল কাউছার আশাকে তার সাংগঠনিক দক্ষতার কারনে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিলো।
পরে তাকে মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক দায়িত্ব দেয়ার পর এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের দায়িত্ব সাখাওয়াত হোসেন রানাকে আহবায়ক ও মমিনুর রহমান বাবুকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্য কমিটি দেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। কিন্তু আবুল কাউছার আশার নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক অবস্থানের তুলনায় বর্তমান কমিটির অবস্থান একেবারেই নড়বড়ে। শুধু তাই নয় আবুল কাউছার আশার দেয়া মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আওতাধীন প্রতিটি থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি এখনো সক্রিয়। যা আবুল কাউছার আশার সমর্থিত কর্মী বাহিনীর অংশের চার ভাগের এক ভাগ বলা চলে। অপরদিকে, কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ৩ সদস্যকে ৫১ সদস্য কমিটিতে রুপান্তরিত করতে পারলেও তাদের বিভিন্ন থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের ব্যাপারে একেবারেই দুর্বল। তবে কমিটিকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে না পারলেও আর্থিক বিষয় নিজেদের শক্তিশালী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। সেই দিকে খেয়াল রেখে নগরীর বিভিন্ন দুরপাল্লার বাস কাউন্টার, ঝুট সেক্টর, পরিবহন সেক্টর, ফুটপাতে দোকান বসিয়ে মাসোহারা আদায়, জেনারেটর লাইন সংযোগ দিয়ে হকারদের নিয়ন্ত্রনে আনতে দিয়েছেন সফলতার পরিচয়। পাশাপাশি বিভিন্ন সেক্টর দখল করতে গিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে তাদের সাথে। যা স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় বেশ জোরেসোরে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তবু তাদের দখলবাজির রাজনীতিত্বে একচুল পরিমান কমতি হয়নি। তবে সর্বপরি নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের একাল-সেকালের রাজনীতির সাংগঠনিক পার্থক্য জনসম্মুখে উন্মোচিত।