নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার আলীগঞ্জে সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরকে কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাওছার আহমেদ পলাশের পালিত ক্যাডার গংরা সদর উপজেলার ফতুল্লার পাগলা এলাকায় জেলা পরিষদের ১.১৪ একর এবং সড়ক ও জনপথ হইতে ২২.৫০ একর সম্পত্তি লিজ নিয়া বর্নিত সম্পত্তিতে পুকুর খনন করে মৎস্য খামার করার পর ওই জমিতে জোর পূর্বক জবর দখল, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধরের চেষ্টা ও মাছ বিক্রের নগদ টাকা, মূল্যবান আসবাব পত্রাদি চুড়ির অভিযোগ এনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পৃুরিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় ফতুল্লা রেল স্টেশন ব্যাংক কলোনী এলাকার কবির হোসেন বাবুল এর ছেলে সাইফুল ইসলাম মৃদুল বাদী হয়ে সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরের পক্ষে বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়।
লিখিত অভিযোগের বিবরনে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম মৃদুল (৩২), পিতা-কবির হোসেন বাবুল, সাং-ফতুল্লা রেল স্টেশন ব্যাংক কলোনী, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, থানায় হাজির হইয়া বিবাদী ১। মাসুদ (৩৮), পিতা-আলাউদ্দিন, সাং- আলীগঞ্জ জং বাড়ী, ২। সোহাগ (৪২), ৩। শাখাওয়াত (৫২), ৪। সুমন (৪৫), ৫। স্মরন (৩২), সর্ব পিতা-মৃত: হাজী আব্দুল বারী চেয়ারম্যান, ৬। মুকুল (৩৬), পিতা-মৃত: গিয়াস উদ্দিন, সাং-আলীগঞ্জ, ৭। রুবেল (৩২), পিতা- আঃ আজিজ, ৮। নুরে আলম (২৭) পিতা-অজ্ঞাত, ৯। আজমীর (২৮), পিতা- জহির, ১০। সানি (২৮), পিতা-লেবুল্লা, ১১। শাওন (২৬), পিতা-অজ্ঞাত, মাতা-আকলিমা বেগম, সর্ব সাং-আলীগঞ্জ, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ হইতে পাগলা মেরী এন্ডারসন এর পূর্ব পার্শ্বে জেলা পরিষদের ১.১৪ একর এবং সড়ক ও জনপথ হইতে ২২.৫০ একর সম্পত্তি ফাতেমা মনির লিজ নিয়া বর্নিত সম্পত্তিতে পুকুর খনন করিয়া মৎস্য খামার স্থাপন করিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ মৎস্য ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছে। আমি উল্লেখিত মৎস্য খামারে কেয়ারটেকার হিসেবে নিয়োজিত আছি। উল্লেখিত বিবাদীগন উক্ত মৎস্য খামারটি জোর পূর্বক দখল করার পায়তরায় লিপ্ত থাকিয়া বিভিন্ন সময় মৎস্য খামারে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাসৃষ্টি করিয়া আসিতেছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় গত-১৬/১২/২০২৪ তারিখ বেলা অনুমান ১১টার সময় উল্লেখিত বিবাদীগন সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন প্রত্যেকে হাতে রাম দা, ছোরা, চাকু, লোহার রড, জিআই পাইপ, হকিষ্টিক ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-সসূত্রে সজ্জিত হইয়া বে-আইনী জনতাবদ্ধে অনাধিকারে বর্নিত মৎস্য খামারের ভিতর প্রবেশ করিয়া মৎস্য খামার জোর পূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। বিবাদীদের বাধা নিষেধ করিলে বিবাদীরা আমাকে মারধর করার জন্য উদ্যত হয়। এক পর্যায়ে বিবাদীরা মৎস্য খামারের ভিতর একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করতঃ বিবাদীরা মৎস্য খামারে স্থাপনকৃত ২০টি সিসি ক্যামেরা, মূল্য অনুমান ৩৫,০০০/-টাকা, অনুমান ৪০,০০০/- টাকার বৈদ্যুতিক তার, একটি স্টিলের নৌকা, মূল্য অনুমান ৪০,০০০/-টাকা সহ মৎস্য খামারের অফিস রুমের তালা ভাঙ্গিয়া অফিসের টেবিলের ড্রয়ারে রক্ষিত মাছ বিক্রয়ের নগদ ২,৫০,০০০/- টাকা চুরি করিয়া নেয়। সংবাদ পাইয়া আমি আমার বর্নিত মৎস্য খামারে যাইয়া বিবাদীদেরকে বাধা দিতে গেলে বিবাদীরা আমাকে এই মর্মে হুমকি প্রদান করে যে, বিবাদীরা আমার মৎস্য খামার যে কোন মূল্যে জবর দখল করিয়া নিবে। আমি সহ আমার লোকজন বাধা দিতে গেলে বিবাদীরা আমাদেরকে খুন জখম করিবে মর্মে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় লোকজনকে জানাইয়া আমার আত্মীয় স্বজনের সহিত আলোচনা করিয়া ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে উক্ত সংবাদ পাইয়া উপরোক্ত বিবাদীগণ সহ ১২। সুজন, পিতা- নূরু, ১৩। রিয়াজ, পিতা- সফরদ্দিন, উভয় সাং- আলীগঞ্জ, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ সহ অজ্ঞাত নামা ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়া আমার মাছের খামারে অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমার মাছের খামার তালাবদ্ধ করিয়া এবং আমার ম্যানেজার ও কেয়ারটেকারকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিতে থাকাবস্থায় উক্ত সংবাদ পাইয়া আমি সহ উক্ত এলাকার মহিলা ভয়েস চেয়ারম্যান উক্ত ঘটনাস্থলে আসিলে উপরোক্ত বিবাদীগণ আমাকে সহ মহিলা ভায়েস চেয়ারম্যান- ফাতেমা মল্লিককে সহ এই মর্মে হুমকী প্রদান করে যে, উক্ত বিষয় নিয়া বেশি বারাবারি করিলে, তোর মাছের খামারের লোকজন ও তোদেরকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।