বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেনকে তার বিস্কুট ফ্যাক্টরি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১ মে বিকালে বন্দরের একরামপুর থেকে আবেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন বন্দর থানা যুবলীগ নেতা উজ্জলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গ্রেপ্তার সংবাদে বন্দর থানা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র-জনতার উপর হামলার মামলার আসামী পাশাপাশি পদধারী নেতাকর্মীরা গা-ঢাকা দিয়েছেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি বন্দর উপজেলায় আওয়ামী লীগের কর্মসূচির লিফলেট বিতরণে ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আতংকে বন্দরে আওয়ামীলীগের রাজনীতি স্থবিরতা হয়ে পড়ে। ছাত্র-জনতার হতাহত মামলায় আসামী হওয়া নেতারা পালিয়ে গেলেও অন্যান্য আত্মগোপনে অবস্থান নেয়।
১৬ ফেব্রুয়ারি কলাগাছিয়া থেকে গ্রেপ্তার হন ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। ১৮ দিন পর বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মাকসুদ হোসেন গ্রেপ্তার হন। তারা দুইজনই দীর্ঘ সময়ে কারাবন্দি হয়ে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। এর আগে গত বছর ৩ অক্টোবর সাবেক কাউন্সিলর ও ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন।
গত বছরের ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মদনপুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এম এ সালাম, ধামগড় ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাসুম আহম্মেদ, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন, থানা আ’লীগের সভাপতি প্রার্থী হুমায়ূণ কবির মৃধা, বন্দর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান,১৯নং ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর,বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ,যুবলীগ নেতা খান মাসুদ সহ নেতারা আত্মগোপনে চলে যান।