সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি বা সত্তার এবং তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদ খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনের পর আজ রোববার অধ্যাদেশটি জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ সময়োপযোগী করতে এই আইনের সংশোধন করা প্রয়োজন। সংসদ না থাকায় এবং রাষ্ট্রপতির কাছে সন্তোষজনক হওয়ায় এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ এর উপধারা ১ এ ‘সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারবে’ এই শব্দগুলোর পর ‘বা সত্তার যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে’ যোগ করা হবে।
উপধারা ১ এ একটি নতুন দফা যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধঘোষিত সত্তার পক্ষে বা সমর্থনে যেকোনো প্রেস বিবৃতি প্রকাশনা কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ বা সংবাদ সম্মেলন বা জনসমক্ষে বক্তৃতা দেওয়া নিষিদ্ধ করা যাবে।
উল্লেখ্য, গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভায় আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।
এরপর আজ উপদেষ্টা পরিষদ সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের (সংশোধন) খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়।