জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক এরশাদ আহমেদ বলেছেন, গত ১৭-২০ বছরে দু:সহ শাসনের মোকাবিলা করে গত ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পতনের পর ভেবেছিলাম এ বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে, এ বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে, এ বাংলাদেশ দুর্নীতি মুক্ত হবে, এ বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
কিন্তু আমরা আজ দেখছি ফ্যাসিস্টদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় মিশে যাচ্ছে। বিভিন্নজন তাদেরকে সহযোগীতা করছে। বিভিন্নজন তাদেরকে পুর্নবাসন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা এটা ভুলে গেছে যে, আমরা বেঁচে আছি। তারেক রহমানের সৈনিকরা বেঁচে আছে, বেগম খালেদা জিয়ার সন্তানরা বেঁচে আছে। জিয়াউর রহমানের আর্দশ এখনও আমরা বুকে ধারন করে আছি। আমরা জাকির খানের নির্দেশে এখনও রাজপথে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখি আমরা।
শনিবার (১৪ জুন) সকাল ১১টায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রজন্ম দলের আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিমের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবদল নেতা পারভেজ মল্লিকের সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের এ নেতা আরও বলেন, আমরা কাউকে থ্রেড করতে চাই না। আপনারা যারা ভুল পথে পা বাড়াচ্ছেন ফিরে আসেন। আলোচনার টেবিলে বসে অন্তত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত করতে সহযোগীতা করুন।
সভাপতির বক্তব্যে সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিম বলেন, চাঁদাবাজকের বিরুদ্ধে জাকির খান আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছে। এ নারায়ণগঞ্জে যারাই চাঁদাবাজি করবে তাদেরকেই আমরা প্রতিরোধ করবো। জনগণের সহযোগীতায় জাকির খান এ নারায়ণগঞ্জ জেলাকে সবচাইতে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলবে
তিনি আরও বলেন, ওই ওসমান পরিবারকে বাঁচাতে যারাই জাতীয়তাবাদী দলের নাম বিক্রি করছেন জাকির খানকে নিয়ে তাদের মুখোশ উন্মুচন করবো ইনশাআল্লাহ্।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদল নেতা ফরিদ আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সভাপতি নাজির আহমেদ, সাবেক ছাত্রদল নেতা হানিফ, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন খান, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হাসান রাজ প্রমূখ।