বন্দর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী বলেন,গতকাল সোমবার আমি আপনাদের থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছি। বন্দরে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি তাই এখানে সুষ্ঠো বাসযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে আইন শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে আমাকে এখানে নিযুক্ত করা হয়েছে। আমি এসেই দেখি দুটি হত্যাকান্ড ঘটে গেল। তবে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেদিকে সবাই লক্ষ রাখবেন। সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। আমি যাতে বন্দরকে মাদকমুক্ত,সন্ত্রাস মুক্ত ও দখল মুক্ত একটা বন্দর উপহার দিতে পারি।
মঙ্গলবার ২৩জুন সকাল ১১ টায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বন্দরবাসীর কাছে নবাগত ওসি সাংবাদিকদের মাধ্যমে ম্যাসেজ প্রদান করেন।
এ সময় ওসি আরো বলেন,বন্দরে যারা বাস করেন জন সাধারন যাতে বাসা থেকে বের হয়ে নির্বিঘ্নে বাসায় যেতে পারেন,নিরাপদে কাজ সম্পাদন করতে পারেন,কোন প্রতিবন্ধকতা মনে করলে আমাকে স্বরন করবেন। আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যতদিন আমি আছি বন্দরে ততদিন কোন অপরাধ হতে দিবো না। আপনাদের ফোন পাওয়া মাত্র আমি গুরুত্ব সহকারে রেসপন্স করবো। বন্দরবাসী শান্তিতে রাখার সুযোগ করে দিতে না পারি তবে আমি ব্যর্থ। যেসব বিষয়গুলো সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে তাদের বিরোদ্ধে আমার অবস্থান দৃঢ়। সন্ত্রাসী,মাদক ব্যবসায়ী ও দখলবাজদের একমাত্র ঠিকানা জেলখানা। সমাজ বির্বতনে সাংবাদিকরা প্রচুর পরিশ্রম করে থাকে। আপনারা আমাদের সহায়ক শক্তি। সমাজের অসঙ্গতীগুলো আপনারা তুলে ধরেন। সন্ত্রাসীদের বিরোদ্ধে আপনারা কাজ করেন। অনিয়মের বিরোদ্ধে আপনারা কাজ করেন। তাই সাংবাদিক সমাজকে আমি বলতে চাই আমাকে সহযোগিতা করেন। আসুন আমরা কাধে কাধ মিলিয়ে অপরাধিদের জমদুত হয়ে একটি সুন্দর নগরী গড়ে তুলি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু,বন্দর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি জিএম সুমন,দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার এসএম আব্দুল্লাহ,দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি শেখ আরিফ,দৈনিক নীরবাংলা পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি বিল্লাল হোসেন,দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক মেহেদী হাসান রিপন প্রমূখ।