নারায়ণগঞ্জ আপডেট ঃ
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউছার আশা বলেন, নতুন ভোটারদেরকে নবায়ন করতে হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে নজর রাখতে হবে, কোনো ফ্যাসিবাদী, মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যু যেন কোনোভাবে দলের সাইনবোর্ড নিয়ে অপকর্ম করতে না পারে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকালে শহরের পুরাতন জিমখানা এলাকায় নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “জাতীয়তাবাদী দলের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মী, সেই সঙ্গে দলের জন্য ক্ষতিকর হলো, যদি কোনো নতুন সদস্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও ফ্যাসিস্টের দোসর, যারা জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী নয়, কিন্তু বর্তমান সময়ে ভালোভাবে চলার এবং চাঁদাবাজির জন্য এই সদস্য ফরম সংগ্রহ করে— সেটি দলের জন্য ক্ষতিকর। সেই ক্ষেত্রে আমাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সচেতনভাবে সদস্য নবায়ন করার আহ্বান জানান।”
আশা আরও বলেন, “আমরা অনেকেই মনে করছি সু-সময় চলে আসছে, আমি বলছি— আমাদের এখন দুঃসময় কাটেনি। কারণ, আমরা যে ১৭ বছর আন্দোলন করেছি মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য, মানুষ যে ভোট দেবে, সেই ভোটের মাধ্যমে তার নেতা নির্বাচিত হবে। এবং একটি দলীয় সরকারের গঠন হবে, যারা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করবে।”
তিনি বলেন, কিন্তু দেখুন, নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। একজন বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন। এটা একধরনের প্রোপাগান্ডা বা প্রক্রিয়া চলছে, যাতে কোনোভাবে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা যায় বা নির্বাচন পেছিয়ে দেওয়া হয় একটি অনির্বাচিত সরকার আনার লক্ষ্যে।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরও বলেন, “আপনারা অনেকেই বলেন— নির্বাচন চাই চাঁদাবাজির জন্য, কিন্তু এখন কি চাঁদাবাজি বন্ধ আছে? নারায়ণগঞ্জের প্রেক্ষাপটে অটোরিকশা ও হকারসহ কোনো কিছুই তো কন্ট্রোলে নেই। তো নির্বাচিত সরকার আসলে নতুন করে আর কী খারাপ হবে? বরং আমি বিশ্বাস করি, জনগণের সমর্থনে যখন নির্বাচিত সরকার আসবে, ওই সরকার মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে। এটা অনির্বাচিত সরকারের দ্বারা সম্ভব নয়।”
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য মো. আওলাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন: সদস্য আমিনুর ইসলাম মিঠু, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ হোসেন কাজল, সাবেক সহসভাপতি মো. তাহের আলী, সাবেক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনছুর উদ্দিন পলিন, জেলার যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামাল, শহর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. আনোয়ার দেওয়ান, শহর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. আবুল হোসেন সরদার, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. সুজন মাহামুদ, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর বেপারী, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. দিদার খন্দকার , মোঃ মহসিন বেপারী
মোঃআমিনুল ইসলাম
মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বিপ্লব মোঃ রিয়াজুল ইসলাম প্রিতম
মোঃ আলামিন হোসেন প্রমুখ।