বন্দরে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনে ননদের স্বামী ২ সন্তানের জননী ভাবী (৩০) কে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষনের ঘটনায় লম্পট ইয়াসিন (৪২ ) কে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। গত বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার পূর্ব হাজীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক ইয়াছিন ওইএলাকার মৃত আহম্মদ আলী মিয়ার ছেলে। এর আগে গত ২৫শে ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী টাওয়ারের পিছনে ওই ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ধর্ষিতা ২ সন্তানের জননী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে লম্পট ননদের স্বামী ইয়াসিনকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ভূক্তভোগী ২ সন্তানের জননী ননদের স্বামী ইয়াসিন। গত ৪ মাস পূর্বে ইয়াসিন চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ভূক্তভোগী ভাবী ২ সন্তানের জননীকে শহরের জামতালা এলাকার একটি বাসায় নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভাবে শারীরীক ভাবে মেলামেশা করে। ওই ঘটনাকে পুঁজি করে প্রায় সময় ইয়াছিন চাকুরী দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ ডিসেম্বর রাত ৮টায় লম্পট ইয়াসিন মোবাইল ফোন করে ভূক্তভোগী ভাবিকে তার বাসার সামনে আসতে বলে এবং তার সাথে রিক্সা যোগে ঘুরতে বলে। ওই সময় ২ সন্তানের জননী আসতে পারবে না বলে জানালে ওই সময় লম্পট ইয়াসিন ক্ষিপ্ত হয়ে বিষয়টি তার স্বামীকে জানিয়ে দিবে বলে জানায়। ধর্ষনের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে ভূক্তভোগী ভাবী তার ননদের স্বামীর সাথে সাবদী টাওয়ারের সামনে আসলে ওই সময় লম্পট ইয়াসিন ভূক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। সে সাথে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।