1. sajujournalist123@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
  2. admin@ganomaddhom.com : nvl5d :
  3. salemo1834949@gmail.com : Selim Mahmud : Selim Mahmud
নতুন বছরে নতুন বই পেল শিক্ষার্থীরা - নারায়ণগঞ্জ আপডেট
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
গাজায় ইসরাইলী গনহত্যায় ফিলিস্তিনি শহীদদের স্বরনে বন্দরে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত কর্মী ছাড়া নেতাদের দুই পয়সা মূল্য নেই : ফরিদ সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ঝুটের গোডাউন ও দুটি দোকানে আগুন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলেন বাংলাদেশ মায়ের পিস্তল নিয়ে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সন্তানের হামলা, নিহত ২ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ১০০ একরের বেশি জমিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস ইইউ ঘোষিত ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা দখলের বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে জার্মানি টানা পাঁচদিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির আভাস নারায়ণগঞ্জে অভিশপ্ত ট্রাকস্ট্যান্ড নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

নতুন বছরে নতুন বই পেল শিক্ষার্থীরা

নারায়ণগঞ্জ আপডেট
  • Update Time : রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ২০৫ Time View

বছরের প্রথম দিনে বই উৎসবে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা। তবে নারায়ণগঞ্জে সবকটি উপজেলায় সকল শেণির বই না পৌঁছানোয় সেই উৎসবে অনেকটাই ভাটা পড়েছ। জেলায় প্রাক-প্রথমিকে মোট পাঁচটি উপজেলার চারটিতে বই প্রাপ্তির হার শূন্যের কোঠায়। এমন পরিস্থিতিতে বই উৎসব ধরে রাখতে সদর উপজেলা থেকে অন্যান্য উপজেলা ধার করা বই দিয়ে সমন্বয় করছে বলে দাবি শিক্ষা অফিসের। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ছাপাখানা থেকে বই না আসায় শিক্ষার্থীদের সকল বই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার প্রাথমিক বই ছাপার কাজ দেওয়া হয়েছে মোট পাঁচটি ছাপাখানাকে। ছাপাখানাগুলো হলো- সরকার প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন্স লিমিটেড, নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলার দায়িত্বে জনতা প্রেস, সোনারগাঁ উপজেলার দায়িত্বে মাষ্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেড, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেলার দায়িত্বে গ্লোবাল প্রিন্টিং ইকুইপমেন্ট লিমিটেড। ছাপাখানাগুলোর মধ্যে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপার দায়িত্বে থাকা অগ্রণী প্রিন্টিং প্রেস জেলার সকল উপজেলায় মোট ১১ লাখ ৩২ হাজার ৪৩৪ সেট বই বরাদ্দ পেলেও সরবরাহ করেছে মাত্র ৫ লাখ ৬ হাজার ৫৮ সেট বই। বরাদ্দ হিসেবে ঘাটতি ছিল ৬ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৬ সেট বই। ফলে জেলায় মোট বই প্রাপ্তির হার ৪৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
পাঁচটি উপজেলায় তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির সকল বই দিতে পারলেও প্রাক প্রাথমিকে পাঁচ উপজেলার চারটিতে কোনো বই দিতে পারেনি সরকার প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন্স। ছাপাখানাটি মোট ১ লাখ ৩১৬ সেট বইয়ের মধ্যে সরবরাহ করেছে ৭২ হাজার ৩৫৮ সেট বই। বরাদ্দ হিসেবে ঘাটতি রয়েছে আরও ২৭ হাজার ৯৫৮ সেট বইয়ের এবং প্রাপ্তি হার ৭২ দশমিক ১৩ শতাংশ। তবে প্রাক-প্রাথমিকের শতভাগ অনুশীলন খাতা দিতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলার পাঠ্যবই ছাপানোর দায়িত্বে থাকা জনতা প্রেস শতভাগ বই দিতে সক্ষম হয়েছে। দুই উপজেলায় প্রথম শ্রেণির জন্য মোট বরাদ্দ ১ লাখ ৫শ সেট ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৭ হাজার ৮৬০ সেট বরাদ্দকৃত বই জনতা প্রেস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। তবে জেলার সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেলার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই ছাপা কাজের দায়িত্বে থাকা মাস্টার সিমেক্স পেপার লিমিটেড ও গ্লোবাল ইকুইপমেন্ট তিনটি উপজেলার সব বই দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ওই তিন উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই প্রদানের হার শূন্যের কোঠা।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী মাহীন ওসমান রাফিফের মা রাজিয়া সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে সব বই দেওয়া হয়নি, শুধুমাত্র বাংলা বই দেওয়া হয়েছে। শুনেছি নারায়ণগঞ্জের সব উপজেলায় বই পৌঁছায়নি তাই সদর উপজেলা থেকে বই ধার নিয়ে অন্য উপজেলার শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে। তবে শীঘ্রই বাকি বইগুলো পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
নগরীর শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার সড়কে অবস্থিত আদর্শ স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী চিস্তিয়া রহমানের বাবা রুবেল হাসান বলেন, প্রথম শ্রেণির মাত্র তিনটি বই- বাংলা, ইরেজী ও গণিতের বই দেওয়া হয়েছে। বাকি বইগুলো দেয়নি। ফলে বই উৎসবের পুরো আমেজ থেকে বঞ্চিত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। 
এদিকে আদর্শ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আজিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, আমাদের চাহিদা অনুযায়ী শতভাগ বই পাইনি। যা বরাদ্দ এসেছে তা থেকে সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়েছে। সুন্দরভাবে এবারের বই উৎসব-২০২৩ সম্পন্ন হয়েছে। তবে সকল শ্রেণির সব শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পারলে বই উৎসবের পূর্ণ আমেজ ও আনন্দ উপভোগ করা যেত। এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নাম্বারে একাধিকবার টেলিফোন করলে সেটি বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (সাধারণ) মো. নুরুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য মোট পাঠ্যপুস্তক বরাদ্দ ছিল ১৫ লাখ ২১ হাজার ২৯৪ সেট বইয়ের। এর মধ্যে বই প্রাপ্তির সংখ্যা ৭ লাখ ৪ হাজার ৪১৮ সেট ও ঘাটতির পরিমাণ ৮ লাখ ১৬ হাজার ৮৭৬ সেট। বরাদ্দ ও ঘাটতির হিসেবে প্রাপ্তির হার ৪৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে বেশ কয়েকটি উপজেলায় বই প্রদানের হার শূন্যের কোঠায় বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত কোনো উপজেলায় বই সংকটের কারণে বই উৎসবে ভাটা পড়েনি। তবে সব শ্রেণির সকল বই আমরা দিতে পারিনি। বইগুলো যেন ছাপাখানা থেকে দ্রুত উপজেলায় পাঠানো হয় এই জন্য সংশ্লিষ্ট ছাপাখানা ও উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।

আরও সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার (রাত ২:৫৮)
  • ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  • ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
©২০২৩ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত নারায়ণগঞ্জ আপডেট
Developed BY RIAZUL